বিজ্ঞাপন

খালাস না নেওয়া ৭৩ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করছে কাস্টমস

November 14, 2022 | 10:23 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : আমদানির পরও খালাস না করায় চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৭৩ কনটেইনার মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এসব পণ্যের মধ্যে আছে- আমদানি করা পচনশীল দ্রব্য ফল, পেঁয়াজ, মাছ, পশুখাদ্য এবং কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ রায়াসনিক দ্রব্য।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর হালিশহরে আনন্দবাজার সিটি করপোরেশনের আবর্জনাগারে নিয়ে পণ্যগুলো ধ্বংস শুরু করা হয়। প্রথমদিনে ১১ কনটেইনারে থাকা জুস, মাছ, সুপারি ও খেজুর ধ্বংস করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সৌমেন চাকমা জানিয়েছেন, ১৬ নভেম্বরের মধ্যে ৭৩ কনটেইনারের সব পণ্য ধ্বংস করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী গঠিত চট্টগ্রাম বন্দরের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস কমিটির ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বিজ্ঞাপন

প্রায় একযুগ ধরে এসব পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে ছিল। নানা জটিলতায় আমদানিকারক এসব পণ্য ছাড় করেননি। আবার বিভিন্নসময় উদ্যোগ নিয়েও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আইনি জটিলতায় সেগুলো নিলামে বিক্রি করতে পারেনি।

চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্দরের বিভিন্ন শেড ও ইয়ার্ডে ৭ হাজার ৩২৯ টিইইউইস কনটেইনার, ৪ হাজার ১৫২ মেট্রিকটন এলসিএল কার্গো, ৬ হাজার ৪৪৭ মেট্রিকটন খোলা পণ্য পড়ে আছে। এর মধ্যে ৩৮৪ কন্টেইনার বিপদজনক হিসেবে ঘোষিত পণ্য অবশ্যই ধবংস করতে হবে। কিন্তু নানা জটিলতায় নিলামে বিক্রি কিংবা ধ্বংস না করতে না পারায় বিপাকে পড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘদিন শেড দখল করে থাকা এসব পণ্য ধ্বংসের ফলে বন্দরে কনটেইনার জট কমবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন