বিজ্ঞাপন

জনগণ অগ্নিগিরির মতো ফুঁসে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

November 16, 2022 | 6:24 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ‘আগ্নিগিরির মতো ফুঁসে উঠছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি গঠিত মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা (সরকার) কত কাপুরুষ, কাওয়ার্ড দেখেন। এই যে সমাবেশগুলো হচ্ছে প্রত্যেকটা সমাবেশ কত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোথাও কোনো রকম সমস্যা হচ্ছে না। এরমধ্যেও তারা আমাদের ৫‘শ অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। আবার গায়েবি মামলা দেওয়া শুরু হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

‘১৫ বছর ধরে তো এই মামলা বহু দিয়েছ, ১৫ বছর ধরে বহু মানুষ খুন করেছ, ৬‘ শ মানুষকে গুম করে দিয়েছ। এসব করে রোখা যাবে না। রোখা কি গেছে? যায়নি। এখন তীব্র আগ্নিগিরির মতো ফুঁসে উঠছে মানুষ। এই ফুঁসে ওঠার মধ্য দিয়েই এই সরকারের পতন হবে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, জনগণের বাংলাদেশ তৈরি হবে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এটা আশার কথা। আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন, এই বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে যোগ দিচ্ছে কারা? দেখবেন, লুঙ্গি পরে আসছে, হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে আসছে এবং তিন দিনের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে চিড়া-মুড়ি-গুড় নিয়ে, এসে তারা এসব সমাবেশ সফল করছে তিনদিন খোলা আকাশের নিচে থেকে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা অভূতপূর্ব। আমরা যদি এটাকে ধারণ করে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারি শুধুমাত্র যে আমাদের জন্য তা নয়, গোটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য, গোটা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য তাহলেই আমরা সফল হব। কে কোথায় কি বলল, না বলল, সেদিকে বেশি কান দেওয়ার দরকার নাই। কে কী বলছে, খেলা বলছে না কী বলছে- বলতে দিন। আমরা আমাদের লক্ষ্যে অটুট থাকব। এবার আমাদেরকে বিজয় অর্জন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা কঠিন যুদ্ধ শুরু করেছি, আমরা কঠিন লড়াই শুরু করেছি। এই লড়াইয়ে জয়ী হতে হলে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে প্রতিমুহূর্ত স্মরণ করতে হবে। কীভাবে উনি হেঁটে হেঁটে ফারাক্কা বাঁধে গেছেন, কীভাবে উনি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের পর গ্রাম ঘুরেছেন, কীভাবে উনি মানুষের দুঃখের সময় পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এখন তো রাজনীতি বদলে গেছে। আমার প্রায় মনে হয় যে, এখন নষ্ট সময় চলছে। এই নষ্ট সময়ে মওলানা ভাসানীকে স্মরণ করা, তাকে অনুসরণ করার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি (ভাসানী) নিজের জন্য কোনো কিছু চাননি। ১৯৫৪ সালে তার দল নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে, কিন্তু তিনি মন্ত্রিত্ব নেননি। এই হচ্ছে মওলানা ভাসানী।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনকার যে রাজনীতি সেই রাজনীতিতে আমরা যেটুকু দেশের জন্য, মানুষের জন্য চেষ্টা করছি, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চেষ্টা করছি। একটা জিনিস তার কাছ থেকে নেওয়া দরকার সেটা হচ্ছে যে, আমাদের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য যেন আমরা কখনও আপস না করি। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা যেন সর্বশক্তি দিতে পারি।’

জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্য্যালয়ে সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নজমূল হক নান্নু, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, মওলানা ভাসানীর স্বজন মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন