বিজ্ঞাপন

যথেচ্ছতার ঊর্ধ্বে রাখতে হবে আইএমএফ-এর ঋণ

November 19, 2022 | 4:25 pm

সামিহা খাতুন

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ সাধারণত তার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কেউ অর্থনৈতিক কোন বিষয়ে সমস্যায় পড়লে বা প্রয়োজন বোধ করলে সহায়তার জন্য পাশে দাঁড়ায়। সংস্থাটি যখন কোনো দেশের সাথে সমঝোতা করে সেখানে কিছু পলিসি প্যাকেজ থাকে যতে ঋণগ্রহীতা দেশ তার সংকট মোকাবেলা করতে পারে আবার একই সাথে দেশটি তার ঋণ শোধেরও যেন সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

যখন কোন দেশ আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়ে থাকে, তখন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দল সেদেশ পরিদর্শন ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করে। সাধারণত এই সফরের সময় ঋণ প্রাপ্তির জন্য অর্থনৈতিক সংস্কারের বেশ কিছু শর্তও দেয়া হয়।এসব শর্তের ব্যাপারে একমত হলে ঋণের ব্যাপারে স্টাফ লেভেলে সমঝোতায় পৌঁছানোর কথা বলা হয়।একে এখনো আইএমএফের পুরোপুরি সম্মতি বলা যায় না।এই স্টাফরা ঋণের ব্যাপারে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর তার ভিত্তিতে আইএমএফের এক্সিকিউটিভ বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।কিন্তু কোন দেশের ঋণের ব্যাপারে স্টাফ লেভেলে সমঝোতা হলে সেটি প্রত্যাখ্যানের নজীর নেই।

গত ২৬শে অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সফর করছে আইএমএফের প্রতিনিধি দলটি। আইএমএফের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি বিবৃতি বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে সাড়ে চার বিলিয়ন ঋণ দেয়ার ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে। বেয়াল্লিশ মাস বা সাড়ে তিন বছর ধরে পর্যায়ক্রমে এই ঋণ ছাড় করা হবে।আগামী তিন মাসের মধ্যেই এই ঋণের সব আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করবে সংস্থাটি। মোট সাত কিস্তিতে তারা বাংলাদেশকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। এ ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদ হার নির্ধারিত হবে বাজারদর অনুযায়ী, যা গড়ে দুই দশমিক দুই শতাংশ হবে। অর্থাৎ পুরো ঋণটি পেতে ২০২৬ হয়ে যাবে। এর মধ্যে এক্সটেনডেন্ড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ও এক্সটেনডেন্ড ফান্ড ফ্যাসিলিটির আওতায় ৩.২ বিলিয়ন আর রেজিলিয়ানন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির ফ্যাসিলিটির আওতায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়া হবে। এই ঋণের মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলাদেশের সমষ্টিক অর্থনৈতিক সুরক্ষা, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চাপ সামলানো আর জলবায়ু সুরক্ষা তহবিলে সহায়তা করা।বাংলাদেশকে যেসব শর্ত দিয়েছে আইএমএফ —

১. রাজস্ব বাড়ানো এবং যৌক্তিক ব্যয় ব্যবস্থা চালু করা। বিশেষ করে প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যয় নির্ধারণ করতে হবে। যারা নাজুক অবস্থায় থাকবে, সেসব খাত লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচী নেয়া।

বিজ্ঞাপন

২. মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আধুনিক মুদ্রানীতি তৈরি করা। সেই সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় হার আরও নমনীয় করে তোলা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে আধুনিক মুদ্রানীতি।

৩. আর্থিক খাতের দুর্বলতা দূর করা, নজরদারি বাড়ানো, সরকার ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের আওতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করা।

৪. বাণিজ্য ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পরিবেশে তৈরি, মানব দক্ষতা বৃদ্ধি, আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করা।

বিজ্ঞাপন

৫. জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটাতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে তোলা, পরিবেশের উন্নতির পদক্ষেপ নেয়া এবং জলবায়ু সংক্রান্ত খাতে আরও বিনিয়োগ ও আর্থিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছে, ‘ঋণের টাকা বাংলাদেশ কিভাবে ব্যবহার করবে সেটি বিস্তারিত ভাবে সব বলা থাকবে এবং সময়সূচী ও লক্ষ্যমাত্রাগুলো সেখানে উল্লেখ থাকবে। অর্থাৎ রাজস্ব ব্যয় বাড়ানো, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, বিনিয়োগ বাড়ানো কিংবা ভর্তুকি কমানোর মতো যেসব শর্ত আইএমএফ দিয়েছে সেখানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হবে। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এ ঋণ সঠিকভাবে খরচ করতে পারা। এই ঋণ এবং দেশীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহারই অর্থনীতির অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সিরডাপের পরিচালক ড. মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আইএমএফ যে শর্তই দিক না কেন ওই শর্তগুলো নিয়ে দরকষাকষি মত অবস্থানে বাংলাদেশের অর্থনীতি নেই। তাই বাংলাদেশকে ঋণ নিতেই হচ্ছে। তবে শর্তগুলো যে সব খারাপ তা কিন্তু নয়। অনেক শর্ত আছে যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ভালো।’ আর সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর সেলিম রায়হান বলেন, ‘ব্যাংক আর্থিক খাতের সংস্কার, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার উন্নতি খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির উন্নতি এগুলো আগেই করা দরকার ছিল। কিন্তু এখন যেটা হবে সরকারকে বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে।’

বাংলাদেশে এখন বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ নয় হাজার ৩০০ কোটি ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে এই ঋণের পরিমাণ ১১৫ বিলিয়ন এবং ২০২৪ সালে ১৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে। আইএমএফ বাংলাদেশকে কোন উন্নয়ন প্রকল্পে রিজার্ভের অর্থ ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। কেননা বাংলাদেশের এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে ৩৫৮৫ কোটি ডলার। এই রিজার্ভের ৭০০ কোটি ডলার দিয়ে গঠন করা হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল। রিজার্ভের আরও ৮০০ কোটি ডলার দিয়ে লং টার্ম ফান্ড, গ্রীন ট্রান্সফর্মেশন ফান্ড গঠন ছাড়াও বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে ও সোনালী ব্যাংকে অর্থ দেওয়া হয়েছে। আইএমএফ এর যে হিসাব পদ্ধতি তাতে এসব খাতে রিজার্ভ থেকে বরাদ্দ দেয়া মোট ৮০০ কোটি ডলার বাদ দিতে হবে। যার ফলে সরকার এখন যে রিজার্ভের কথা বলছে তা আরো কমে গিয়ে দাঁড়াবে ২৩০০ কোটি ডলারে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ রয়েছে ৩৪.০৩ বিলিয়ন ডলার।’

আইএমএফ বাংলাদেশের ব্যাংকের শতকরা বছরে নয় টাকা যে সুদের হার বেধে দেয়া আছে সেটাকে বেধে না দিয়ে ব্যাংকগুলোর হাতে ছেড়ে দিতে বলছে এবং তারা বছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করার কথা বলেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ এখন খেলাপি ঋণ বাড়ছে। গত ডিসেম্বরে ব্যাংকিং খাতে ও খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ তিন হাজার কোটি টাকা।পাশাপাশি আইএমএফ বাংলাদেশের খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির উন্নতি চায় আর তিন মাস কিস্তি দিতে ব্যর্থ হলে খেলাপি ঋণ হিসেবে চিহ্নিত করার পক্ষে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন ২০২২ পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ছয় মাস আগে ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ তিন হাজার ২৭৩ কোটি টাকা, যা ছিল মোট ঋনের ৭. ৯৩ শতাংশ। হিসাব মতে মাত্র ছয় মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এছাড়াও আইএমএফ চায় সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমে আনা হোক এবং এ সুদহার বাজারদরের কাছাকাছি থাকুক।

বিজ্ঞাপন

আইএমএফ কতৃক পাওয়া ঋণের ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় প্রভাবই বাংলাদেশে দেখা যাবে। আইএমএস এর ঋণের ইতিবাচক দিক গুলোর দিকে একটু দৃষ্টি দেয়া যাক, এ ঋণের ফলে সাময়িকভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমবে। সার্বিক অর্থনীতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই আইএমএফ ঋণ দেয় এই বার্তাটি বহির বিশ্বে গেলে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনতে পারে। বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, জাইকা সহ অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থাগুলো আইএমএফ এর মূল্যায়নকে আমলে নেয় ফলে ঋণ পাওয়া সহজ হবে। বিদেশি ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট সংস্থা থেকে বাণিজ্যিক ঋণ নিতে আইএমএফ এর মূল্যায়ন ইতিবাচক হবে। চাপে পড়ে ব্যাংক সহ বিভিন্ন খাতের সংস্কার বাস্তবায়নের ফলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। কিন্তু একই সাথে একথা মানতেই হবে বর্তমানে অর্থনীতিতে মন্দা ভাব চলছে, প্রায় সকল সূচক সাধারণ জনগণের বিপক্ষে। আইএমএফ এর ঋণের নেতিবাচক প্রভাব গুলো যদি বিশ্লেষণ করা যায় সেগুলো হল- আইএমএফ এর ঋণ নেওয়া মানেই দেশটি সংকটে আছে এমন বার্তা যায় বিদেশে, অনেকে এটিকে মন্দা মোকাবেলার জন্য “বেল আউট প্রোগ্রাম” হিসেবে মনে করে। ৭ কিস্তির মধ্যে প্রতি কিস্তিতে গড়ে ৬৪ কোটি কোটি ডলার মিলবে, দেশের আমদানি ব্যয় মাসে গড়ে ৬৫০ কোটি ডলার ফলে এটি বৈদেশিক মুদ্রার সংকট মোকাবেলায় খুব বেশি ভূমিকা রাখবে না। আইএমএফের ঋণের সুদের হার এক থেকে দেড় শতাংশের মধ্যে থাকে কিন্তু এবার ঋনের সুদ ২.২০ শতাংশ যা অনেক বেশি। ঋণের শর্তে জ্বালানি তেল, বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে এতে মুদ্রাস্ফীতি চাপ বাড়বে ও জন দুর্ভোগ বাড়বে। যেহেতু কিছুদিন পূর্বেই সার ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে সাধারণ ভোক্তাদের কৃষি পণ্য কিনতে হয়েছে বেশি দাম দিয়ে ও যেখানে নিম্ন ও নিম্ন মধ্য আয়ের পরিবার গুলোর জীবনযাত্রার মানের অবনতি ঘটেছে। পুনরায় যদি সারের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে সাধারণ মানুষের জীবন হয়ে উঠবে দুর্বিষহ। আমদানি পণ্যের উপর শুল্ক কমাতে হবে এতে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

এই ঋণের নেতিবাচক দিক থাকা শর্তেও এ ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া যায় যে এ ঋণ বাংলাদেশের লেনদেনের ভারসাম্যে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। কেননা আইএমএফ যে সকল সংস্কারের কথা উল্লেখ করেছে সেগুলোর বেশিরভাগ আমাদের আমাদের অর্থনীতির জন্য দরকার ছিল। আইএমএফ এর হিসেবে প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ যে ৪৫ কোটি ডলার পাবে তা আমাদের যে রিজার্ভ তার সাপেক্ষেও এটি বড় কিছু নয়। বরং এই ঋণের ফলে বাংলাদেশ প্রয়োজন সাপেক্ষে আরো ঋণ চাইলে অন্যান্য সংস্থা থেকে সেটি পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। আবার বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবির মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমাদের বাজেট সহায়তা দিতে উৎসাহিত হবে। সেদিক থেকে এর গুরুত্ব অবশ্যই আছে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বিদেশি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো, তাই আইএমএফ এর ঋণ বিক্রির ঘটনাটি স্বাভাবিক। এই ঋণের পর অন্য সংস্থা থেকে ঋণ পেতে এখন আর তেমন যাচাইয়ের দরকার হবে না।

এছাড়াও এখন প্রয়োজন নিজেদের হওয়া মিতব্যায়ী হওয়া এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। প্রশাসনিক কাজকর্মে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি এবং একইসাথে জবাবদিহিতাও। প্রত্যাশা করা যায় ঋণ পাওয়ার যে প্রাথমিক আশ্বাস আমরা পেয়েছি এখন সেটি হাতে আসার আগে সরকারের যা যা করণীয় তা সঠিকভাবে এবং ঋণ পাওয়ার পরবর্তী করণীয়গুলো পরিকল্পনা সম্পূর্ণ করতে হবে।

লেখক: শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন