বিজ্ঞাপন

জঙ্গি ছিনতাইয়ে অংশ নেওয়া মেহেদী ৭ দিনের রিমান্ডে

November 24, 2022 | 2:53 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসি’র পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ কোতয়ালী থানায় সন্ত্রাসবিরোধ আইনে করা মামলায় আসামিকে আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এই আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামির কাছ থেকে জানা যায়, রাফি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ’আনসার আল ইসলাম’ এর শীর্ষ নেতা বরখাস্তকৃত মেজর জিয়ার সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সংগঠনের আসকরি শাখার সদস্যদের রিক্রুট করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিনতাইকৃত পলাতক জঙ্গি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন। যার সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার। রাফি সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতো।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা আদালতপ্রাঙ্গন থেকে জঙ্গি আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করে। এ পরিকল্পনার কথা রাফিকে জানায়। রাফি আদালতে মামলাসমূহের নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার সময় অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ হতো এবং তাদের সে এই পরিকল্পনার কথা জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ নভেম্বর পরিকল্পনা মোতাবেক ঢাকা সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটে। জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাফি প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

এদিন রাফির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। রাফিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে তোলা হয়। তার শরীরে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট ছিলো। শুনানি শেষে তাকে আবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ২৩ নভেম্বর মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

বিজ্ঞাপন

সিটিটিসি জানায়, ঘটনার দিন অনেক জঙ্গি ছিনতাই অভিযানে অংশ নিয়েছিল। মামলার এজাহারে যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন অমি।

উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গন থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই ঘটনায় রাতে ২০ জঙ্গিকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ।

সারাবাংলা/এআই/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন