বিজ্ঞাপন

এবার প্রতিরোধের ঘোষণা আসল বিএনপির

November 27, 2022 | 6:30 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বার বার নয়াপল্টন থেকে মার খেয়ে ফিরে আসা বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা কামরুল হাসান নাসিম এবার প্রতিরোধের ঘেষাণা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।

নাসিম বলেন, ‘শনিবার (২৬ নভেম্বর) পুনরায় পুনর্গঠন হবে এবং উচ্চ আদালত বসবে- এমন দাবিতে নয়াপল্টন গেলে আবারও ওই অপরাজনীতির ধারক-বাহকেরা আমাদের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ২৯ নভেম্বর আমরা প্রথমবারের মতো প্রতিরোধের ভাষায় জবাব দেব। অনেক তো মার খাওয়া হল, এবার প্রতিরোধে যাওয়া যাক।’

তিনি বলেন, ‘দ্য আইডিওলজিক্যাল পজিশন অফ এক্সেপ্টিং দ্য প্র্যাক্টিস অফ ম্যাপ বেইজড স্টেট ফরমেশন ইজ কলড ন্যাশনালিজম- আমার রাখা চারটি জাতীয়তবাদের সংজ্ঞার এটি একটি। কিন্তু, বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল নাম নিয়ে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা জাতীয়তাবাদের শর্ত পূরণ করে রাজনীতি করতে পারছে না।’

বিজ্ঞাপন

নাসিম বলেন, ‘বিএনপি পুনর্গঠন করার রাজনৈতিক উদ্যোগ ছিল ও আছে। এমন অভিনব রাজনৈতিক লড়াইটি করার বয়স প্রায় আট বছর। সত্যান্বেষী মন উৎসুক হলেই পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াটির বাস্তবতাকে জাতীয়তবাদী সড়কে খুঁজে পাওয়া যায়। যদি কেউ উৎসাহী হয়ে সত্যিকার অর্থে একটি জাতীয়তবাদী দলকে প্রত্যাশা করার মানসে থাকে, তবে পেছনের পাতা উল্টালে দেখা যাচ্ছে যে, ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি এমন যাত্রার শুরুটা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘দলের ক্রান্তিকালীন মুখপাত্র হিসাবে একজন সাধারণ মানুষ ও দলের সদস্য হিসেবে বলেছিলাম, বিএনপির ৫টি অসুখ হয়েছে। অসুখ সারাতে হবে। আমি সামান্য ওষুধওয়ালা। সে লক্ষ্যে ২০১৫ সালে প্রায় ত্রিশটি কর্মসূচি শেষ করার পর ওই বছরের ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তবাদী জনতার নিম্ন আদালত বসাতে সক্ষম হই।’

‘আপনারা অবগত যে, সেই প্রতীকী আদালতে আমি বাদী হিসাবে ছিলাম। বিবাদী হিসাবে নির্দিষ্ট সেই পাঁচটি অসুখকে দাঁড় করানো হয়েছিল। এমন প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর ওই প্রতীকী আদালতে আমি উপস্থিত জাতীয়তবাদী জনতার কাছে দুইটা রায় চাই। এক, দলের গঠনতন্ত্র স্থগিত করা হোক। দুই, একটি ক্রেডিবল কাউন্সিল করার জন্য দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের সামনেই জাতীয়তবাদী জনতার উচ্চ আদালত বসতে হবে। তখন বিচারক হিসাবে থাকা জনতা আমার পক্ষে রায় দেয়। তখন আমি দলের পক্ষ থেকে দলীয় বিপ্লব করা হবে বলে ঘোষণা করি’- বলেন কামরুল হাসান নাসিম।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ওই ঘোষণা অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি, ১৭ জানুয়ারি, ১৭ মে ও ৫ সেপ্টেম্বর রাজপথে দলীয় বিপ্লবের মহড়া হয়। চারবারই দলের সদস্যরা নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা দাবী করে যে, এখানেই বসবে উচ্চ আদালত। কিন্তু প্রতিবারই আমাদের দলের অপর অংশ বরাবরের মত করে আমাদের মিছিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর পুনর্গঠনের ইস্যুটিকে বুদ্ধিবৃত্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেয়ে বিভিন্ন সুপারিশ, সমালোচনা অব্যাহত রাখি।’

নাসিম বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, যারা অবৈধভাবে দল পরিচালনা করছে তাদের বোধোদয় ঘটুক। সময় নিয়ে তারা ফিরে আসুক জনস্বার্থের রাজনীতিতে। তারা দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিজেদের কে তৈরি করুক- এমন চিন্তায় দলীয় বিপ্লবের অর্থবহ ফলাফল নিয়ে আসতে প্রতীকী উচ্চ আদালত বসানোর প্রক্রিয়াটি একটু বিলম্বে হোক, তা ঘোষণা করি।

‘কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপির ৫টি অসুখের একটিও মুক্ত হয়নি। সঙ্গত ও অনিবার্য কারণে মনে করছি, নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে উচ্চ আদালত বসানো ছাড়া দলটিকে মুলধারার রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। এখন যে বিএনপি, এটি কোন রাজনৈতিক শক্তি নয়, এখনকার বিএনপিকে রাজনৈতিক অপশক্তি বলাই ভালো হবে’- বলেন নাসিম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ এজেড/ এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন