বিজ্ঞাপন

নৃশংসতার সব সীমা অতিক্রম করেছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ

December 8, 2022 | 7:31 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অবৈধ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য বর্তমান সরকার নৃশংসতার সব সীমা অতিক্রম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। পুলিশ এবং দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে তারা বিরোধী দলের নিরীহ নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা হত্যা, হামলা ও গ্রেফতার করে ঠেকানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

বৃস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) শিশুকল্যাণ পরিষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা এ কথা বলেন। এ সময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর নৃশংস হামলা চালিয়ে ভয়াবহ, ভীতিকর ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে সরকার। হামলায় মকবুল হোসেন নামে একজন কর্মী নিহত এবং কয়েকশ আহত হয়েছেন। ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের হাতিরঝিল থানার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংগঠক হাসু মিয়াকে কাল মধ্যরাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কর্মীদের গণহারে গ্রেফতারের পাশাপাশি শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করতে শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’

নেতারা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা, গুলি করে হত্যা, নৃশংস হামলা, গণহারে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে সরকার দেশকে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে দখলদার সরকারের বিরুদ্ধে সমগ্র দেশের মানুষ জেগে উঠেছে।’

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘গত কয়েকদিনে সিদ্ধিরগঞ্জে নাগরিক ঐক্য এবং গণঅধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এটি সরকারের চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। অবৈধ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে সরকার গণআন্দোলন দমনের জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে। গুলি করে মানুষ মেরে কোনো স্বৈরাচার টিকতে পারেনি। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা হত্যা, হামলা ও গ্রেফতার করে ঠেকানো যাবে না।’

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আরও বলেন, ‘বিএনপি ইতিমধ্যে ৯টি শান্তিপূর্ণ বিভাগীয় সমাবেশ করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেই সমাবেশগুলোতে অংশ নিয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলের যেকোনো কর্মসূচি এখন কোনো একটি দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এ কারণে গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে বিএনপির আগামী ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করার লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর হামলা করেছে, নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় লুট, সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দিয়ে এক নারকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।’

গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করে নেতারা বলেন, ‘উস্কানিমূলক আচরণের মধ্যে দিয়ে সরকার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর দায় সম্পূর্ণভাবে সরকারকে নিতে হবে।‘

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএস

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন