বিজ্ঞাপন

সাকিবদের সঙ্গে বিরোধ নেই, দাবি হ্যালসলের

April 30, 2018 | 7:25 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

নিদাহাস ট্রফিতে দলের সঙ্গে যখন শ্রীলঙ্কায় যাননি, ভবিষ্যতটা জানা হয়ে গিয়েছিল তখনই। রিচার্ড হ্যালসলকে ‘ছুটি’ দিয়ে যে তাকে একরকম বিদায় বার্তাই দিয়েছিল বিসিবি, সেটাও বোঝা হয়ে গিয়েছিল। মার্চেই নিশ্চিত হয়, হ্যালসলের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিরোধের জন্যই হ্যালসলকে সহকারী কোচের পদ হারাতে হয়েছে, এমন একটা গুঞ্জনও ছিল। তবে সোমবার (৩০ এপ্রিল) মিরপুরে সেটি স্বীকার করলেন না তিনি, দাবি করলেন পরিবারের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দেশজুড়ে ছুটির আবহ, আপাতত জাতীয় দলের কোনো খেলাও নেই। নিরুত্তাপ মিরপুরে আজ হ্যালসলকে মুখোমুখি হতে হলো অনেক প্রশ্নের। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী আগেই দাবি করেছিলেন, ‘পারিবারিক’ কারণেই হ্যালসল চলে গেছেন। এই মুহূর্তে সাসেক্স ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক এই জিম্বাবুইয়ানও সেই নিরাপদ পথেই হাঁটলেন, ‘কারণটা পুরোপুরিই পারিবারিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেকটাই সময় কেড়ে নেয়। পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়। এটিই কারণ।’

তার মানে সাকিব, তামিমসহ সিনিয়র ক্রিকেটারদের আপত্তির জন্য চলে যেতে হয়নি তাকে? এমন প্রশ্নে হ্যালসল সেটা এড়িয়ে গেলেন, ‘সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবশ্যই নিজস্ব মতামত আছে। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি বাংলাদেশ দলকে সেরাটা দিতে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কারও সঙ্গে আমি কোনো সমস্যা দেখিনি। এসব নিয়ে কিছু জানা নেই আমার।’

বিজ্ঞাপন

তাহলে এতোদিন পর বিসিবিতে আসার কারণ কী? হ্যালসল বললেন, সেটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা, ‘এসেছি ধন্যবাদ জানাতে। প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে কথা হয়েছে, বোর্ডের অন্যদেরও ধন্যবাদ জানালাম এখানকার সময়টুকুর জন্য। আমি যে কাজটি করতে ভালোবাসি, সেই কাজ করতে তারা আমাকে সাহায্য করেছে।’

জাতীয় দলের সঙ্গে প্রায় চার বছর কাজ করেছিলেন হ্যালসল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে কিছু পরামর্শও দিয়ে গেছেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই অনেক আন্তর্জাতিক দলকেই দেখেছেন। ক্রিকেটাররা যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের নিরাপদ ভাবছে, নিরাপদ বলতে শারীরিক দিকটা বোঝাচ্ছি না, তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া ও দেখভাল করা, সমর্থন করা, তাহলে তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চটা পাওয়া যাবে। যে ক্রিকেটাররা দলে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে লড়ছে, তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দলে ভালো এক ঝাঁক সিনিয়র ক্রিকেটের আছে। কিন্তু শুধু তাদের দিয়েই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিক ভাবে ম্যাচ জেতা যাবে না। আরও ক্রিকেটার তুলে আনতে হবে। সেটিই পরামর্শ থাকবে। সিনিয়রদের পাশাপাশি উঠতিদের সামর্থ্যটা বের করে আনতে হবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আরও অনেক বড় দলের খুব ভালো ‘এ’ দল ও ইমার্জিং প্লেয়ার্স প্রোগ্রাম থাকে। তার পরও অনেক সময় প্লেয়ার উঠে আসে না সেভাবে। একদিক থেকে ভাবলে বাংলাদেশের জন্য এটি সুবিধাও যে দ্রুত সরাসরি প্রতিভাবানরা জাতীয় দলে উঠে আসছে। কিন্তু তার পর তাদেরকে উপযুক্ত সমর্থন দিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন