বিজ্ঞাপন

হাসিনা-মোদি বৈঠক নিয়ে কাজ করছে ভারত

May 2, 2018 | 8:21 am

।। এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি চায় ভারতের নরেন্দ্র মোদির সরকার। নয়া দিল্লি চায়, বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হোক। একাধিক কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নয়া দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আরও শক্ত সম্পর্ক গড়তে চায় নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। এর মূলে রয়েছে আঞ্চলিক নেতৃত্বে ভারতের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করে তোলার আকাঙ্ক্ষা। বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সাম্প্রতিককালের সম্পর্কের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ভারত। এই অঞ্চলের চালকের আসনটি অন্য কোনো দেশের হাতে দিতে চায় না মোদি সরকার। এজন্য ছক কষে এগুচ্ছে ভারত সরকার।

এরই অংশ হিসেবে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে গত মাসে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চীনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ওই সফল বৈঠকের পর আগামী ১০ মে নেপাল সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাজা প্রসাদ শরমা অলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করতে চাচ্ছেন মোদি। এই বৈঠকের জন্যই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠান সফল করতে এরই মধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলে কাজ শুরু করেছে ভারত।

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) বদলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাত দেশের আঞ্চলিক জোট বিমসটেক’কে কার্যকর করতে চাচ্ছে ভারত। এর আগে পাকিস্তানের ইসলামাবাদের সার্ক সম্মেলন ভারতের আপত্তির কারণে অনুষ্ঠিত হতে না পারাটাও তারই প্রতিফলন। আবার আগামী জুন-জুলাই নাগাদ নেপালে বিমসটেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সম্মেলনের আগেই ভারত সরকার আঞ্চলিক রাজনীতিতে নিজেদের সমর্থন প্রসঙ্গে নিশ্চিত হতে চায়।

ঢাকা ও নয়া দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, সার্কের বদলে বিমসটেক’কে কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত সমর্থন চান নরেন্দ্র মোদি। আর সে উদ্দেশ্য সফল করতেই বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় নয়া দিল্লি। লক্ষ্য, ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যেন দুই প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠক করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, এর আগে সর্বশেষ দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ১৯ এপ্রিল লন্ডনে।

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন