বিজ্ঞাপন

তিন সমিতি রাজি হলেই দেশে আসবে হিন্দি ছবি

January 3, 2023 | 2:16 pm

আহমেদ জামান শিমুল

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদের সঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রশদর্শক সমিতির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার (২ জানুয়ারি)। সে বৈঠকে হিন্দি ছবি আমদানির অগ্রগতি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সমিতির আলোচনা হয়েছে। সেখানে মন্ত্রী তাদেরকে চলচ্চিত্রের প্রধান তিন সমিতি থেকে লিখিত অনাপত্তি জমা দিতে বলেছেন।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে উপস্থিত প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাশ সারাবাংলাকে জানান, আমরা যখন মন্ত্রীর কাছে যখন হিন্দি ছবি আমদানির ব্যাপারে কথা শুরু করি তখন তিনি বলেছেন- আমাদের তো এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এর আগে কিন্তু শিল্পী সমিতির আপত্তির কারণে অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই আপনারা চলচ্চিত্রের প্রধান তিন সমিতি— প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, পরিচালক সমিতি এবং শিল্পী সমিতির কাছ থেকে লিখিত অনাপত্তি নিয়ে আসেন। আমরা এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ হাজার কোটি টাকা প্রকল্পের জন্য আমরা হল মালিকদের কাছ থেকে মাত্র ৩৪টি আবেদন পেয়েছি। আরও ২০-২৫টি আবেদন প্রক্রিয়াধীন। বিনিয়োগকারীরা মূলত এ টাকা ফেরত কীভাবে আসবে তার নিশ্চয়তা চান। আর এর জন্য তারা হিন্দি ছবি আমদানি করতে চান। আমরা বলেছি বছরে ১০টি হিন্দি ছবি আমদানি করা গেলে সিনেমা হলগুলো টিকে থাকবে। কারণ হল টিকে থাকার মতো তো দেশীয় ছবি এ মুহূর্তে নেই।’

কিন্তু হিন্দি ছবির আমদানির ক্ষেত্রে তো সবচেয়ে বড় বাধা হিন্দি ছবি আমদানি নিষিদ্ধের আইন। সে ব্যাপারে কোনো কথা হয়েছে কি? ‘মন্ত্রী আমাদের বলেছেন প্রধান তিন সমিতির অনাপত্তি পেলে আইনি বাধাসহ অন্যান্য যে সকল বিষয় সংশোধন করা লাগবে সেগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নিবেন তারা। সে ব্যাপারে তারা আন্তরিক’ — বলেন সুদীপ্ত।

বিজ্ঞাপন

গেল জুলাইয়ে সারাবাংলায় প্রকাশিত শুধু আইনই নয়, হিন্দি সিনেমা আমদানিতে প্রজেকশন সিস্টেমও বাধা—শীর্ষক প্রতিবেদন বলা হয়েছিলো, হিন্দি ছবি চালানোর জন্য ডিসিপি প্রজেকশন সিস্টেম আছে দেশের ৭-৮টি সিনেমা হলে। যার কারণে সবার আগে প্রজেকশন সিস্টেম ঠিক করতে হবে।

সুদীপ্ত বলেন, ‘আমরা আশা করছি ৫০টি সিনেপ্লেক্সের ঋণ অনুমোদন আগামী জুনের মধ্যে হয়ে যাবে। এর বাইরেও ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই আধুনিক সিনেমা হল নির্মাণ করছেন। তখন এগুলো কোনো সমস্যায় থাকবে না।’

এর আগে বেশকিছু ভারতীয় বাংলা এবং হিন্দি ছবি আমদানি করা হয়েছে। সে ছবিগুলো দেশের সিনেমা হলে মুখ থুবড়ে পড়েছিলো। তবে বিষয়টি মানতে নারাজ সুদীপ্ত, “২০১০ সালে আমাদেরকে হুট করে অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। এ নিয়ে অনেক মামলা, হামলা হয়েছিলো। যার কারণে তাড়াহুড়া করে সবকিছু করতে হয়েছিলো। এরপরও ভারতীয় বাংলা ‘জোর’ ছবিটি বেশ ভালো ব্যবসা করেছিলো। আমরা ‘জোর’সহ তিনটি ভারতীয় বাংলা ছবি আমদানি করেছিলাম মাত্র আড়াই লাখ টাকায়। অন্যদিকে হিন্দি ‘ওয়াটেন্ড’ ও ‘ডন ২’ আমদানি করেছিলাম ১৫ হাজার ডলার দিয়ে। এর মধ্যে ‘ওয়াটেন্ড’ ভালো ব্যবসা করেছিলো।”

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডএস/এসবিডিই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন