বিজ্ঞাপন

সেবা ও সাহসিকতায় ১১৫ জনকে বিপিএম-পিপিএম

January 3, 2023 | 5:39 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কর্মক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখায় ১১৫ পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম ব্যাজ পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এ বছর সেবায় রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন ৫০ জন, পুলিশ পদক (বিপিএম) পেয়েছেন ২৫ জন। এ ছাড়া সাহসিকতায় পিপিএম পেয়েছেন ২৫ জন, বিপিএম পেয়েছেন ১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ শুরুর দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদক ব্যাজ পরিয়ে দেন। এদিন সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর পর সশরীর উপস্থিত হয়ে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন তিনি।

এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য—‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে, পুলিশ আছে জনতার পাশে’। পুলিশ সপ্তাহের নানা কর্মসূচি চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা জিপে চড়ে বাংলাদেশ পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশের বিভিন্ন দল বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। পরে পদকপ্রাপ্তদের পোশাকে ব্যাজ পরিয়ে দেন।

পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক চক্রান্ত আছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। যখন বাংলাদেশ একটু ভালোর দিকে যায় তখন নানা ধরনের চক্রান্ত শুরু হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা-মা-ভাই এবং ছোট্ট রাসেলকে পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছিল। এই বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ কখনও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে না। অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করেও আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি , আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে ক্ষমতায় আসতে পারব এটি কেউ ভাবতে পারেনি। আল্লাহর রহমতে এই চুতর্থবারের মতো আমরা সরকারে আছি। আর আছি বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, পুলিশ বাহিনীসহ সবার জন্য কাজ করতে পেরেছি। অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করেও আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

পুলিশকে একটি দক্ষ চৌকস বাহিনী হিসাবে, স্মার্ট পুলিশ বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলে তুলে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো প্রতিবন্ধকতায় যেন আমাদের এই অগ্রযাত্রা বাধা দিতে না পারে। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তাকে স্বাগত জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন