বিজ্ঞাপন

ওআইসি’র ৪৫ তম সম্মেলন ঢাকায়, গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গা ইস্যু

May 3, 2018 | 12:27 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা:  ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যু ও মুসলিম বিশ্বের শান্তি ও প্রগতির বিষয়টি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার ( ৩ মে) সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। প্রেস ব্রিফিংটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

‘টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নে ইসলামিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫ তম সম্মেলন আগামী ৫ ও ৬ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

বিজ্ঞাপন

এই সম্মেলনে ওআইসির সকল সদস্য রাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র, ওআইসি প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানসহ সাড়ে ৫০০ প্রতিনিধি অংশ নেবে। বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪০ জন মন্ত্রী ও সহকারি মন্ত্রী এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী এক বছর সিএমএফ (কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টার্স) এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে।

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে, তা উল্লেখ করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘এই সম্মেলনে যে বিষয়গুলো অধিক গুরুত্ব পাবে, সেগুলো হচ্ছে, মুসলিম বিশ্বের সংঘাত ও চ্যালেঞ্জসমূহ, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী, বিশ্বব্যাপি মুসলমানরা যে ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে তা কীভাবে সমাধান করা যায়, বিশ্বব্যাপি সৃষ্টি হওয়া ইসলামোফোবিয়া কাটাতে সভ্যতা ও সংস্কৃতির আন্তঃসংলাপ, মুসলিম উম্মাহর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সাংস্কৃতিক বিষয়সহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র খুঁজে বের করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্যালেস্টাইন ও আলকুদস এর জনগনের ন্যায়সঙ্গত দাবী ও অধিকারের বিষয়টি আলোচনায় বরাবরের মতোই গুরুত্ব পাবে। রোহিঙ্গা সঙ্কট ঢাকা সিএফএমে বিশেষভাবে স্থান পাবে এবং বিষয়টি সম্মেলনের একটি বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা করা হবে। এ ছাড়া আগ্রহী দেশ ও প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার প্রতিনিধিদের আগামীকাল ৪ মে (শুক্রবার) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

এই সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু ওআইসিতেই নয় সারাবিশ্বেই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণ, স্বার্থ সংরক্ষণ ও বিশ্ব পরিমন্ডলে স্বীয় কূটনৈতিক অবস্থানকে আরো সুসংহত করা সম্ভব হবে, এই তথ্য জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ ছাড়াও মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা বাড়বে এবং দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক ও সুদুরপ্রসারী ফল বয়ে আনবে।’

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের বেশকিছু দেশ শান্তি, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষায় হুমকি, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মুসলিম রাষ্ট্রে বাইরের হস্তক্ষেপ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, ‘ইসলামোফোবিয়া’ ও মানবিক বিপর্যয়সহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সংস্থাটির সম্মিলিত উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ওআইসি পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বাৎসরিক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আসন্ন ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে সংখ্যালঘু মুসলনমানের নির্যাতন বন্ধে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। মুসলমান বিশ্বে চলমান সংঘর্ষ, হানাহানির বদলে কীভাবে টেকসই শান্তি, প্রগতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়, সে পথের সন্ধানে আলোচনা করা হবে।

সারাবাংলা/জেআইএল/জেএএম

বিজ্ঞাপন

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন