বিজ্ঞাপন

শিশু টুটুল হত্যা: ১ জনের ফাঁসি বহাল, খালাস ২

January 16, 2023 | 8:28 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সাবিকুল হাসান টুটুল হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারিক আদালতে মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার অপর আসামি মামলা চলাকালে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।

বিজ্ঞাপন

অপর আসামি আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আর খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন মো. দুলাল মিয়া ও সোহাগ মিয়া।

সোমরার (১৬ জানুয়ারি) ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে আদালত আংশিক ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন করেছেন।

আদালতে আসামি দুলাল মিয়া ও আমিনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, শেখ মো. শামসুজ্জামান এবং ইসরাত হাসান। আসামি মো. সোহাগ মিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ।

রায়ের পর আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসনাত জানান, এ মামলায় আমিনুল হক ও মো. সোহাগ মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছিল। দুলাল মিয়ার স্বীকারোক্তি ছিল না। তবে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণ আমিনুল হকের স্বীকারোক্তিকে সমর্থন করলেও সোহাগ মিয়ার স্বীকারোক্তিকে সমর্থন করেনি। এসব কারণে দুলাল ও সোহাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

তবে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে নোট দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট পাকুন্দিয়ার চরকাউনা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সাকিবুল হাসান ওরফে টুটুলকে স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহরণ করা হয়। ওই দিন টুটুলের মায়ের মোবাইল ফোনে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

বিষয়টি পুলিশকে জানালে রাতেই তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ও হোসেনপুর সার্কেলের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের অভিযান শুরু হয়। পরে টুটুলের বাবার বন্ধু দুলাল মিয়া, সোহাগ মিয়াসহ চারজনকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই বছরের ১৪ আগস্ট ভোরে পুলিশ চরকাওনা নয়াবাজার-সংলগ্ন একটি ঝোপের ভেতর থেকে টুটুলের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। টুটুলকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় শিশুর বাবা কামাল উদ্দিন বাবু চার জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাউনা গ্রামের মো. ডালিম, মো. সোহাগ মিয়া, মো. দুলাল মিয়া ও আমিনুল ইসলাম।

পরে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩ মে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আওলাদ হোসেন ভূঁইয়া চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন