বিজ্ঞাপন

২০২৬ সালেই বে-টার্মিনাল চালু হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

January 16, 2023 | 11:42 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দর মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করবে জানিয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ২০২৪ সালে আমাদের বে-টার্মিনাল চালুর লক্ষ্য ছিল। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। ডিপিপি কার্যক্রম শেষ হলেই সাড়ে ৩ হাজার মিটারের বে-টার্মিনালের কাজ শুরু হবে। আশা করছি ২০২৫ সালের শেষে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমেই বে-টার্মিনাল চালু হবে। পাশাপাশি ২০২৬ সালের শেষে মাতারবাড়ি গভীর সমুন্দ্রবন্দরও চালু হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের চিটাগং কনটেইনার টার্মিনালের (সিসিটি) এক নম্বর জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ও ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ বার্থিং ও বন্দরের ভাণ্ডার ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক অন্যরকম। স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু যখন জেল থেকে বের হন তখন তাকে কিছু অপশন দেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি যুক্তরাজ্যকে বেছে নিয়েছিলেন। সেই থেকে ৫০ বছরের বাংলাদেশে আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছি। আগামীতে এ সম্পর্ক আরও ভালো হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এমনকি যে চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চাকা হিসেবে খ্যাত, সে চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসেও যুক্তরাজ্যের ভূমিকা রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বড় জাহাজ ভেড়ানোর কাজে যে কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা করেছেন তারাও যুক্তরাজ্যের।’

চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৪ বছর বাংলাদেশের অগ্রগতির কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার চট্টগ্রাম বন্দর। এ বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে শুধু চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নয়, বন্দরের সকল অংশীজনদের দাবি সরকার গুরুত্ব দেয়। এ বন্দরে উন্নয়নে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থা এইচআর ওয়েলিংফোর্ড কাজ করেছে। বর্তমানে বন্দরের ১৯টি জেটির মধ্যে ১৭টি চালু আছে। কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য ১৮টি গ্যান্ট্রি ক্রেন সচল আছে।’

পদ্মা সেতু থেকে সরে গিয়ে বিশ্ব ব্যাংক এখন আফসোস করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশের বাজেট প্রস্তাব করার আগে বিদেশী সংস্থার পেছন পেছন ঘুরতে হতো। এখন আর তা করতে হয় না। দাতা গোষ্ঠীরা আমাদের পেছন পেছন ঘুরে।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এইচ আর রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মো. আরিফ বলেন, চিটাগং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন