বিজ্ঞাপন

এসডিজি বাস্তবায়নে অ্যাকশন প্ল্যান চূড়ান্ত

May 3, 2018 | 3:36 pm

।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের অ্যাকশন প্ল্যান চূড়ান্ত করেছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে ৪৩টি মন্ত্রণালয়কে লিড মন্ত্রণালয় ধরে এসডিজির লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব সব মন্ত্রণালয়কে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ মে) পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক অভ্যন্তরীণ সভায় এই অ্যাকশন প্ল্যান পাস করা হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ প্রসঙ্গে এসডিজির অ্যাকশন প্লান তৈরির দায়িত্বে নিয়োজিত পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড.  শামসুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, এরই মধ্যে চলমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে এসডিজির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রাগুলো আরো বেশি সংগঠিত, পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে করতে আজকের সভায় এই অ্যাকশন প্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, অ্যাকশন প্ল্যানে বলা হয়েছে, উন্নয়ন কর্মসূচির কাঠামো বিবেচনায় এসডিজি সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এতে কোনো মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব খাতভিত্তিক (স্কিম ব্যতীত) ব্যয় কিংবা মন্ত্রণালয়ের রুটিন কার্যক্রম উল্লেখ করা হবে না। এছাড়া মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতিটি বিভাগের কর্মপরিকল্পনা এমনভাবে প্রণয়ন করা হবে যেখানে কেবল সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের নাম উল্লেখ থাকবে।

আরো জানা গেছে, এসডিজির যেসব লক্ষ্যমাত্রা সুস্পষ্ট নয় সেখানে বৈশ্বিক সূচকের বিশ্লেষণ করতে হবে। এই বৈশ্বিক সূচকের বিপরীতে মন্ত্রণালয়ের বিভাগগুলো তথ্য-উপাত্ত দেবে এবং তার ভিত্তি ও লক্ষ্য নির্ধারণের মাধ্যমে প্রকল্প কর্মসূচি ঠিক করবে।

চূড়ান্ত অ্যাকশন প্ল্যানে বলা হয়েছে, যেসব প্রকল্পের নাম দেখে প্রকল্পের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে বুঝা সম্ভব নয়, প্রয়োজনে সেসব প্রকল্পের দুই-তিনটি মূল কার্যক্রম উল্লেখ করে দেওয়া যেতে পারে। লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পের মেয়াদ কত বছর হবে, সেটিও উল্লেখ থাকতে হবে। একইসঙ্গে ২০২০ সাল নাগাদ অর্থাৎ সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভাগের নেওয়া প্রকল্পগুলোর নাম এবং ২০২১-২০৩০ সাল পর্যন্ত গ্রহণ করতে যাওয়া প্রকল্পগুলোর থিম ধারণা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কর্মপরিকল্পনায় কেবল লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর নাম অগ্রাধিকারভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগকে মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) বরাদ্দ বিবেচনায় নিতে হবে। বরাদ্দের সীমা সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ বর্ধিত ধরে অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন করা যাবে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিটি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে লিড মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি কো-লিড ও অ্যাসোসিয়েট মন্ত্রণালয়গুলোর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পের তালিকা সংযোজন করতে হবে। প্রতিটি লিড মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তার আওতাভুক্ত সব সংস্থা ও সহযোগী মন্ত্রণালয় বিভাগগুলোর সাথে আলোচনা করে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।

এসডিজি বাস্তবায়নের চূড়ান্ত এই অ্যাকশন প্ল্যানে বলা হয়েছে, প্রকল্প ধারণা গ্রহণ করতে এসডিজি অভীষ্টলক্ষ্যগুলোর আলোকে জাতীয় পরিকল্পনা, মন্ত্রণালয় বিভাগের নীতিপত্র, কৌশলপত্র, সেক্টর বিনিয়োগ পরিকল্পনা ও মাস্টারপ্ল্যান বিবেচনায় নিতে হবে। এসডিজি কর্মপরিকল্পনায় মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কর্মসূচি বা কার্যক্রম প্রতিফলনের সুযোগ নেই।

আরো বলা হয়েছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয় কেবল সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) পাঠানো ছক অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণ করবে। ছকের কোনো ধরনের পরিবর্তন যেন না হয়, সেদিকে সচেষ্ট থাকতে হবে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সুস্পষ্ট লক্ষ্য প্রতীয়মান না হলে, সে সব প্রকল্পের নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন