বিজ্ঞাপন

মহাসড়কে তৈরি পোশাক চুরি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা চায় বিজিএমইএ

February 7, 2023 | 3:03 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মহাসড়কে পোশাক পণ্য চুরি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও আইনের কঠোর প্রয়োগসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

এসময় মহাসড়কে পোশাক চুরি রোধে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছে বিজিএমইএ। সেগুলোর মধ্যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের চলমান কাজ দ্রুততম সময় আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করা। জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তি, প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা। এছাড়া, কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি, কাভার্ড ভ্যান চালক এবং হেলপারদের ডাটাবেইজ প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সাথে শেয়ার করার ব্যবস্থা রাখার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘প্রায় দেড় যুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানির সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২ হাজারেরও বেশি কাভার্ড ভ্যান থেকে শত শত কোটি টাকার রফতানিযোগ্য তৈরি পোশাক পণ্য চুরি করেছে একটি চক্র। গত ২০২২ সালে প্রায় ২০-২২টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি চুরি হওয়ার একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা অবাক হয়ে যাই, যখন দেখি শাহেদের মতো একজন চোর কোটি কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মালিক হয়েছে এবং বছরের পর বছর বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। প্রায় বিরামহীনভাবে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শাহেদ এই অপরাধ করতে পেরেছে। দুই বছর আগে বন্দর নগরীতে দায়ের করা ৬টি মামলায় আট মাস কারাগারে ছিল সে। কিন্তু প্রতিবারই জামিন পাওয়ার পর সে পুরানো পেশায় ফিরে এসেছে। এই ধরনের অপরাধীরা কিভাবে এত সহজে জামিন পায় সেটি আমাদের প্রশ্ন?

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘শুধু শাহেদ নয়, গার্মেন্টস পণ্য চুরির জগতে আরও মাস্টারমাইন্ড, আরও চক্র রয়েছে, যারা একই কাজ করছে ধরা পড়লেও প্রায় কোন শাস্তি ভোগ না করে আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসছে। এই অপরাধীদের কারণে আমাদের পোশাক শিল্প বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পোশাক শিল্পের আমদানি-রফতানির মালামাল কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভারের যোগসাজশে চুরি করে আসছে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। আর আমরা মুল্যবান ক্রেতা হারাচ্ছি, যা কাম্য নয়।’

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘মহাসড়কে পোশাক শিল্পের পণ্য চুরি রফতানিকারকদের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। পোশাক শিল্পের অসৎ কর্মচারী এসব অপতৎপরতায় লিপ্ত এবং বায়িং হাউজ, শিপিং লাইন ও সিএন্ডএফ এর যেসব অসাধু কর্মকর্তা/কর্মচারী এসব কাজে জড়িত। এছাড়া পরিবহন কোম্পানিগুলোর ড্রাইভারসহ যে কর্মচারীরা চোর চক্রগুলোর যোগসাজশে পোশাক শিল্পের রফতানি পণ্য লোপাট করছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে যেন কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া না হয়।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন