বিজ্ঞাপন

পাহাড়কে অস্থির করতে সক্রিয় মতলববাজ মহল: ওবায়দুল কাদের

May 4, 2018 | 9:17 pm

।। স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: পাহাড়ের শান্তি বিনষ্ট করে সেখানে অস্থিরতা তৈরিতে একটি মতলববাজ মহলের সক্রিয় থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে আজও রক্তপাত হলো। শান্তির মধ্যে অস্থিরতা তৈরির জন্য একটা মতলববাজ মহল সক্রিয়। বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এটা অনেকের ঈর্ষার কারণ। তারা আলোতে পারে না, অন্ধকারের আশ্রয় নেয়, রক্তপাতের আশ্রয় নেয়, ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।’

শুক্রবার (৪ মে) সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমীতে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৩ মে) রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা এবং এর পরদিনই গুলিতে আরো পাঁচ জন নিহতের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন।

শক্তিমান চাকমা মৃত্যুর আগে মেয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছিলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাকে পরশু দিন বলেছিল, ভাই, আপনার কাছে কিছুই চাওয়ার নেই। আমার জীবন ঝুঁকির মুখে। আমার মেয়েটা রাঙ্গামাটি মেডিকেলে পড়ে। ওখানে আমি কিছুতেই তাকে নিয়ে স্বস্তিতে থাকতে পারছি না। আমি নিজেও শহরে যেতে পারি না। আমার একটা অনুরোধ, আমার মেয়েটিকে একটু রক্ষা করুন, চট্টগ্রাম অথবা ঢাকায় তাকে ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করুন।’ তিনি বলেন, ‘মেয়ের জীবন ঝুঁকির মুখে বলল, আর তার জীবনই শেষ হয়ে গেল। আর তার জন্য আজ মারা গেল আরো ৫ জন।’

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কাদের বলেন, ‘পাহাড়ে আজ যা ঘটছে, এগুলো বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। আমার মায়ের মৃত্যুর পর আমার দু’চোখ ভরে জল এসেছে। আমি যখন পাহাড়ের এক তরুণ উপজেলা চেয়্যারম্যানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর পাই, তখনও তাই হয়েছে। সকালে মর্নিং ওয়াকের সময় প্রায়ই তার (শক্তিমান চাকমা) সঙ্গে আমার কথা হতো। গতকালও ফোন করেছিলো, আজ তার ফোন পাইনি। এই ছেলেটি যে কত ত্যাগী, কত সৎ- আমি জানি।’

খেলাঘর কেন্দ্রীয় আসরের চেয়ারপারসন অধ্যাপক পান্না কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, অধ্যাপক সামছুজ্জামান খান, অধ্যাপক নুরুর রহমান সেলিম, কামাল চৌধুরী, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, শমী কায়সার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বজলুর রহমান ভাইয়া স্মৃতিপদক তুলে দেওয়া হয় অধ্যাপক সামছুজ্জামান খান, কামাল চৌধুরী ও অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারীর হাতে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএমএইচ/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন