বিজ্ঞাপন

বিপিএল ফাইনাল: মাশরাফির পঞ্চম নাকি কুমিল্লার চতুর্থ

February 16, 2023 | 12:50 pm

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

শেষ বিন্দুতে এসে পৌঁছেছে নবম বিপিএল। আজ রাতে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটির ফাইনাল ম্যাচ। মুখোমুখি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলীয় হিসেবে কুমিল্লা বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল। সর্বোচ্চ তিনবার শিরোপা ঘরে তুলেছে দলটি। অপর দিকে সিলেট ফাইনালে উঠল এই প্রথম। তবে সিলেটকে নেতৃত্ব দেওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজা অধিনায়ক হিসেবে বিভিন্ন দলের হয়ে বিপিএলের শিরোপা জিতেছেন সর্বোচ্চ চারবার।

বিজ্ঞাপন

আর একটা তথ্য দিয়ে রাখা যাক। আগে তিনবার ফাইনালে উঠে তিনবারই শিরোপা জিতেছে কুমিল্লা। অধিনায়ক মাশরাফিও চারবার ফাইনাল খেলে জিতেছে চারবারই। আজ হয় অধিনায়ক মাশরাফি নয়তো কুমিল্লা, কোনো এক পক্ষের অপরাজেয় যাত্রা থামছে নিশ্চিত।

মাশরাফিকে নিয়ে আলোচনা বারবারই আসছে। কারণ প্রথমবার ফাইনালে উঠা সিলেটের মূল কারিগরই যে তিনি। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি বদল করা দলটি অতীতে বারবারই ব্যর্থ হয়েছে। এবারও সিলেটের দল খুব বেশি ভালো ছিল না। বিদেশি খুব বড় তারকা নেই। দেশিদের মধ্যে যিনি বড় তারকা সেই মুশফিকুর রহিমও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছেন। মাঝাড়ি মানের সেই দলটাই কিনা শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করল।

তরুণ, অপরীক্ষিত তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, তানজিব হাসান সাকিব, রেজাউর রহমান রাজাদের মতো তরুণরা মাশরাফির ছোঁয়ায় যেন ‘তারকা’ বনে গেলেন। অধারাবাহিক নাজমুল হোসেন শান্তও ধারাবাহিক রান পেয়েছেন। দেশিয় এই তরুণদের জ্বলে উঠার ফসলই সিলেটের ফাইনালে পৌঁছা। তরুণ তৌহিদ হৃদয় একবার বলেছিলেন ‘মাশরাফি ভাই ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে নিতে পারেন।’ মাশরাফির কথা তাই ঘুরেফিরে আসছে সেই কারণেই।

বিজ্ঞাপন

বয়স ৪০’শে পরেছে। ফলে ইনজুরির ধকল নিয়ে এই বয়সে পরের বিপিএলে মাশরাফিকে দেখা যাবে কিনা সন্দেহ। ফলে আজ নিশ্চয় মাশরাফির জন্যও জিততে চাইবে সিলেট। টুর্নামেন্টের আগের ম্যাচগুলোর মতো আজ ফাইনালেও সিলেটের মূল শক্তি মাশরাফির ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিস্ক এবং দেশির তরুণরা। বিপিএল জুড়ে ইনিংসের শুরুর দিকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। মাঝে মুশফিকুর রহিম ও জাকির হাসান এবং শেষ দিকে দুই বিদেশি থিসারা পেরেরা ও রায়ান বার্ল আছেন দায়িত্ব নিতে।

বোলিংয়ে বড় তারকা নেই সিলেটের। জর্জ লিন্ডে, লুক উড, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রেজাউর রহমান রাজা, তানজিব হাসান সাকিবরাই সিলেটের ভরসা। সে হিসেবে দলীয় শক্তির বিচারে ফাইনালে কুমিল্লা যোজন যোজন এগিয়ে।

বিজ্ঞাপন

টানা তিন হারে টুর্নামেন্ট শুরু করা দলটা পরের দশ ম্যাচের দশটিই জিতে ফাইনালে উঠেছে তাদের বড় তারকাদের কাঁধে ভর করেই। দেশিদের মধ্যে লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমানদের সঙ্গে জাকের আলী, তরুণ স্পিনার তানভির ইসলাম দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। আর বিদেশি কোটায় দলটি রীতিমতো তারকার হাট বসিয়েছে!

আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, মঈন আলী, জনসন চার্লসরা নামবেন কুমিল্লার হয়ে, যাদের প্রতিজনেরই একাই ম্যাচের মোড় ধুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ আছে। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর দলটি এগুচ্ছে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য গতিতে।

তবে যে তিনটা ম্যাচ হারতে হয়েছে তার একটি হেরেছে এই সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টের লিগ পর্বে দুবার মুখোমুখি হয়ে দুই দলই জিতেছে একটি করে ম্যাচ। তারপর কোয়ালিফায়ারের দেখায় সিলেটকে হারিয়ে দিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত এই দু’দল তিন ম্যাচ খেলে কুমিল্লা জিতেছে দুটি, সিলেট একটি।

এসব কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে বাড়তি আত্মবিশ্বাসই দিচ্ছে। কুমিল্লা যে ফেভারিট তকমায় এগিয়ে সেটা মুখের কথায়ও ফুটিয়ে তুললেন ইমরুল কায়েস। কুমিল্লার অধিনায়ক বলেন, ‘যে দলকে আমরা দুইবার ১২০ রানে আলআউট করেছি। প্রথম ম্যাচেও আমাদের ১৪০ রান তাড়ায় ওদের ৬ উইকেট পড়েছিল এবং প্রায় ১৮ ওভার লেগেছিল জিততে। তার মানে, আমাদের বোলিং আক্রমণের ওই শক্তি আছে। কালকে ভিন্ন কিছু্ও হতে পারে। তবে অধিনায়ক হিসেবে তো আমার চাওয়া থাকে, একটা দলকে যখন আমি দুইবার কম রানে অলআউট করি, তখন তো সেই আত্মবিশ্বাস আমার থাকে।’

বিজ্ঞাপন

শক্তির বিচারে পিছিয়ে থাকলেও নিজেদের পরিকল্পনায় ফাইনালে উঠে আসা সিলেট নিজেদের সামর্থ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। দুর্দান্ত পারফর্ম করে ফাইনালে উঠে আসা দলটির তরুণরা চিন্তিত নয় কুমিল্লার বড় বড় তাকাদের নিয়ে। সিলেটের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা নাজমুল হোসেন শান্ত বলছিলেন, ‘যে দুই দল ফাইনালে উঠেছে, ভালো খেলেছ বলেই ফাইনালে উঠেছে। আমরা কাদের বিপক্ষে খেলছি, এটা বেশি জরুরি নয়। আমার কাছে বেশি জরুরি কালকের পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করব। অবশ্যই তারা ভালো দল। তবে নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো করবে, তারাই ম্যাচ জিতবে। কার বিপক্ষে খেলছি, বিদেশি ক্রিকেটার কী রকম, এই বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই আমরা।’

ফাইনালে দুই দলই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাইবে নিশ্চয়। মিরপুরের উইকেটও তাতে সমর্থন দিবে হয়তো! আগের বিপিএলের গুলোর তুলনায় এবার বিপিএলের উইকেট ভালো। মিরপুর নিয়মিত বড় রান উঠেছে। আজ ফাইনাল হচ্ছে মিরপুরেই। ফলে রোমাঞ্চকর একটা লড়াই দেখার আশা করতেই পারেন ক্রিকেট রসিকরা।

ফাইনালের লড়াই মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

সারাবাংলা/এসএইচএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
যৌথবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহততাহলে ব্যাংকে কি মাস্তান-মাফিয়ারা ঢুকবে?— কাদেরকে রিজভীর প্রশ্নরাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রহনযোগ্যতা ও আরাকান আর্মিব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধের ঘোষণায় সিপিবি’র ক্ষোভভিয়েতনাম মুক্তিসংগ্রামের অবিসংবাদিত কিংবদন্তি হো চি মিনমেট্রোরেলে ভ্যাট যাত্রীর ওপর চাপবে, পুনর্বিবেচনার অনুরোধ‘বৈষম্যমূলক’ পেনশন ব্যবস্থা প্রত্যাহারের দাবি বুয়েট শিক্ষকদের‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধবিজয়ীদের ‘এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী সব খবর...
বিজ্ঞাপন