বিজ্ঞাপন

হাসিনা-মোদি-মমতা বৈঠকে প্রাধান্য পাবে বিমসটেক ও তিস্তা

May 5, 2018 | 1:40 pm

।। এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করতে আগামী ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিনের সফরে ভারত যাবেন। ওইদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা এবং নয়া দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আগামী ২৫ মে’র ভারত সফরে দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি দ্বিপক্ষীয় ইস্যুর বাইরে আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলাপ করবেন। বিশেষ করে সার্কের (দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) বদলে বিমসটেককে (দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭ দেশের আঞ্চলিক জোট) কীভাবে কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে তাদের মধ্যে আলাপ হবে।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুইদেশের মধ্যে অমিমাংসিত ইস্যু তিস্তা নিয়ে আলাপ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

নয়া দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আরও শক্ত সম্পর্ক গড়তে চায় নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। ভারত চাচ্ছে, আঞ্চলিক নেতৃত্বে তার অবস্থান আরো সুদৃঢ় করতে। বিশেষ করে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সাম্প্রতিককালের সম্পর্কের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ভারত। এই অঞ্চলের চালকের আসনটি অন্য কোনো দেশের হাতে দিতে চায় না মোদি সরকার। এ জন্য ছক কষে এগুচ্ছে ভারত সরকার।

যে কারণে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিঙের সঙ্গে গত মাসে সফল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চীনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সফল বৈঠক করার পর আগামী ১০ মে নেপাল সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাজা প্রসাদ শরমা অলির সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি।

নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদি চাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করতে। যে কারণে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠান সফল করতে আগামী ২৫ মে’কে বেছে নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সার্কের বদলে বিমসটেককে কার্যকর করতে চাচ্ছে ভারত। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলনটি ভারতের আপত্তির কারণেই অনুষ্ঠিত হয়নি।

ঢাকা এবং নয়া দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, সার্ক এর বদলে বিমসটেককে কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত সমর্থন চায় নরেন্দ্র মোদি। এ জন্যই বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় নয়া দিল্লি। যাতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠক করতে পারেন। আগামী জুন অথবা জুলাই মাসে নেপালে বিমসটেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ ১৯ এপ্রিল লন্ডনে দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন