বিজ্ঞাপন

বিনিয়োগ বাড়াতে করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব ডিসিসিআই’র

May 5, 2018 | 4:35 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশে বেসরকারি এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হলে করপোরেট কর কমানো দরকার বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী আগামী তিন বছরে করপোরেট করের হার পর্যায়ক্রমে ১০ শতাংশ কমিয়ে আনা যেতে পারে।

শনিবার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলি ডিসিসিআই কার্যালয়ে প্রাক-বাজেট শীর্ষক এক সংবাদ সংম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব রাখা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআই সভাপতি মো. আবুল কাসেম, সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক রেজাউল করিম এবং আরও অনেকে।

বিজ্ঞাপন

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে করপোরেট করের হার অনেক বেশি। এই করপোরেট করের হার কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ কমানো দরকার। সেইসঙ্গে পরের দুই অর্থ বছরে আরও পাঁচ শতাংশ কমানো দরকার। তাতে ব্যবসায়ীরা আরও বেশি বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। আর বিনিয়োগ বাড়লে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, আগামী বাজেটে করমুক্ত ব্যক্তি আয়কর সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা দরকার। বর্তমানে আড়াই লাখ থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত আয় হলে ১০ শতাংশ কর দিতে হয়। চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা আয় হলে ১৫ শতাংশ, পাঁচ লাখ থেকে ছয় লাখ পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং ছয় থেকে ৩০ লাখ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং ৩০ লাখের বেশি হলে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর দিতে হয়। আগামী বাজেটে প্রতিটি ক্ষেত্রে কর পাঁচ শতাংশ কমিয়ে আনার উচিৎ। তাতে মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী বাজেটে অবকাঠামোগত খাতের উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি বাজেটে ট্যাক্স কার্ড হোল্ডাদের সুবিধা-অসুবিধা জানানোর জায়গা হিসেবে একটি বিশেষ সেল গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বন্দরকর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো, যানজট নিরসনে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন থেকে আট লেনে উন্নীত করা এখন সময়ের দাবি।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, অবৈধ টাকা বৈধ করার সুযোগ ডিসিসিআই সমর্থন করে না। তবে যে টাকা বৈধভাবে উপার্জন করা হয়েছে, কিন্তু ট্যাক্সফাইল করা হয়নি- সেগুলোকে ট্যাক্সের আওতায় আনার সুযোগ দিতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এলএনজি গ্যাসের দাম যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী দাম নির্ধারণ না করে সরকার এই খাতে ভর্তুকি দেবে। বর্তমানে দেশে যে দামে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে- তার সঙ্গে সংগতি রেখে দাম নির্ধারণ করা হলে সবাই উপকৃত হবে।

সারাবাংলা/জিএস/এটি

বিজ্ঞাপন

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন