বিজ্ঞাপন

‘স্মার্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম দাবি’

February 27, 2023 | 9:11 pm

ঢাকা: আগামী ১৮ মার্চ ঢাকায় এবং ৪ ও ১১ মার্চ ঢাকার বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার এতে ভোট দেবেন ৬০ হাজার ২৫৯ জন ভোটার।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী গ্রাজুয়েটরা পূর্ণ প্যানেলে অংশ নিতে যাচ্ছে। নির্বাচনে অনুপস্থিত বিএনপিপন্থীদের প্যানেল। প্রথমে প্যানেল দিলেও পরে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতপন্থী গ্রাজুয়েটরা। এদিকে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করা ‘টিম অপরাজেয়’ নামে নয়জনের একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে এবার। নানা সমস্যা সমাধান এবং র‍্যাংকিং-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প দিয়ে তারা সাজিয়েছেন ইশতেহার।

সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নানা কারণে গুরুত্ব বহন করে। নির্বাচিত ক্যাটাগরিতে ২৫ জন সাবেক শিক্ষার্থী সিনেটের সদস্য হন। এবারের নির্বাচনে ‘টিম অপরাজেয়’ প্যানেল থেকে ৫২ নম্বর ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম। বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব হিসেবে কর্মরত ড. নেয়ামুল ইসলামের সঙ্গে সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে সারাবাংলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট রাহাতুল ইসলাম রাফি

সারাবাংলা: সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনে এবার কোনো ভিন্নতা আছে কি?

বিজ্ঞাপন

ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম: আপেক্ষিক অর্থে ভিন্নতা নেই। এখানে সব প্রার্থীই স্বতন্ত্র ভোটে নমিনেশন জমা দেন। ব্যালটও স্বতন্ত্র। প্রচারের স্বার্থে প্যানেল বা টিম করা হয়। এবারের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ প্যানেলটি ব্যতীত অন্য প্যানেল অনুপস্থিত। তবে আমরাও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী একত্রে ‘টিম অপরাজেয়’ নামের একটি প্যানেল হিসেবে প্রচারণা করছি। আমাদের ব্যালট নম্বরসমূহ: ১৪, ১৫, ২৬, ৫২, ৬০, ৬১, ৬২ ও ৬৭।

সারাবাংলা: অন্য প্যানেল থেকে আপনাদের ভিন্নতার জায়গাটা কী? কী কী আছে বলে মনে করেন?

ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম: আমরা কিছু স্পেসিফিক বিষয়ে কাজ করব। নির্বাচনি ইশতেহারে সেসব উল্লেখ করেছি। আমরা মনে করি, এসব জায়গায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: এই নির্বাচন কেন এখনও রাজনৈতিক বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না?

ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম: আমি মনে করি, সব গ্রাজুয়েটই ভালোর সঙ্গে আছে। সবার উদ্দেশ্যই সৎ। তবে রাজনৈতিক বলয় থেকে এই নির্বাচন বেরোতে না পারার কারণ হিসেবে আমি অনুকূল পরিবেশের অনুপস্থিতিকে দায়ী করব।

সারাবাংলা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক অবস্থা কী রকম বলে মনে করেন? এখান থেকে বেরোনোর উপায় কী?

ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিম্নগামী। নিচের দিকে ধাবমান। গভীর খাদে পড়ে যাওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়কে টেনে উপরে তোলার দায়িত্ব প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের। টিম অপরাজেয় প্যানেলের পক্ষ থেকে আমরা অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছি। এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: আপনাদের মূল স্লোগান ‘স্মার্ট ডিইউ’ নিয়ে বিস্তারিত শুনতে চাই।

ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম: স্মার্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম দাবি। সেজন্য সবার আগে পেপারলেস ঢাবি নিশ্চিত করতে হবে। সবকিছু ডিজিটাল সিস্টেমে নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের হাতে থাকবে একটি স্মার্ট কার্ড। এই কার্ড দিয়ে শিক্ষার্থীরা কেনাকাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবে। সপ্তাহে সাতদিন দিনরাত ২৪ ঘণ্টা লাইব্রেরি খোলা থাকবে। এসবই তো! ইশতেহারে আমরা বিস্তারিত বলেছি।

সারাবাংলা: সিনেটে ৩৫ জন নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি থাকলেও গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনেও শিক্ষকদের আধিক্য দেখা যায়। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?

ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম: তারা যদি যোগ্যতম হন, সেক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই। এক্ষেত্রে, বারবার নির্বাচিত যারা হয়েছেন, তারা কী ধরনের ভূমিকা রেখেছেন, সেটি জেনে নেওয়া যেতে পারে। যোগ্য হলে, কাজ করলে সমস্যা নেই।

সারাবাংলা: সিনেট সদস্য নির্বাচিত হতে পারলে কোন পাঁচটি মূল কাজে আপনি হাত দেবেন?

ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম: দেখুন, ইশতেহারে দেওয়া সব কাজই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে বর্ণিত সব কাজই একযোগে শুরু করার প্রত্যয় আছে আমার।

সারাবাংলা: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ।

সারাবাংলা/আরআইআর/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন