বিজ্ঞাপন

বাটারফ্লাই নিয়েই উড়তে চান রুবেল

May 5, 2018 | 5:25 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

নিদাহাস ট্রফিতে দুঃস্বপ্নের ওই ওভারটা এলোমেলো করে দিয়েছিল সবকিছু। নইলে রুবেল হোসেন পুরো সিরিজেই ছিলেন দুর্দান্ত। এরপর আর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে মাঠেও নামা হয়নি, মাঝে অসুস্থতার জন্য ছিলেন না বিসিএলে। আবার ফিটনেস নিয়ে কাজ শুরু করেছেন, আজ মিরপুরেই জানালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে নিজের পুরনো বাটারফ্লাই ডেলিভারি নিয়েও কাজ করছেন আবার।

শ্রীলঙ্কা সিরিজেই নিজের ফর্ম পেতে শুরু করেছিলেন। ফাইনালে বাংলাদেশ হারলেও ওই ম্যাচে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। এরপর প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলার পর আবার উড়ে গেছেন শ্রীলঙ্কায়। ফাইনালের ওই ওভার বাদ দিলে রুবেল বল করেছিলেন দারুণ। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও ১০ জন ক্রিকেটারের মধ্যে আছেন। যদিও রুবেল তাতে বেশি আপ্লুত হচ্ছেন না, বরং ব্যাপারটা বিসিবির বলে এড়িয়েই গেছেন। সামনে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে লম্বা সফর। রুবেল তার আগে অনুশীলন করছেন নিজের পুরনো অস্ত্র বাটারফ্লাই ডেলিভারি নিয়ে।

দুই বছর আগেই এই ডেলিভারি নিয়ে কাজ করেছিলেন রুবেল। তখন অবশ্য চোট আর ফর্মহীনতায় সেভাবে কাজে লাগাতে পারেননি। নিদাহাসে দিবারাত্রির ম্যাচ হওয়ায় সেটা কাজে লাগানো কঠিন ছিল। আজ মিরপুরে রুবেল নিজেই বলেছিলেন, দিনের ম্যাচ হলে সেটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। সামনে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে এই বাটারফ্লাই ডেলিভারি নিয়ে আরও ভালোভাবে কাজ করতে চান।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু বাটারফ্লাই ডেলিভারি আসলে কী? আইপিএলে এবার অনেক পেসার যে নাকল বল নিয়ে কাজ করছেন, সেটার মতোই অনেকটা। রুবেল নিজেই ব্যাখ্যা করলেন, ‘বাটারফ্লাই ডেলিভারিই নাকাল বল। আঙুলের ডগায় বল আটকে একই আর্ম স্পিডে ডেলিভারি দিতে হয়ে। আঙুলের ডগায় থাকায় বল ছুড়ার পর গতি কম থাকে।’

এখনও রপ্ত করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেই জানালেন, ‘নাকাল বল নিয়ে আমি অনেক আগে থেকেই অনুশীলন করছি। নিউজিল্যান্ড সফরে আমি হয়তো দুয়েকটা বলে এই ডেলিভারির চেষ্টা করেছিলাম। সেগুলো ভালোই হয়েছিল। তবে এই ডেলিভারি দেওয়াটা আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার। আর এখন আইপিএলে তো সবাই এক ডেলিভারিটা নিয়মিত করছে। আর মোটামুটি সবাই সফলও হচ্ছে। এটা খুব ভালো একটা ভেরিয়েশন। এই ডেলিভারি নিয়ে আমার আসলে আরেকটু কাজ করতে হবে।’

আফগানিস্তান সামনে থাকলেও বাংলাদেশের আসল প্রস্তুতি থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে। রুবেলও সেদিকেই চোখ রাখছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমি আগেও খেলেছি। সেখানের উইকেটে পেস বোলারদের জন্য কিছুটা সহায়তা থাকে। ওদের পেস বোলিং ইউনিটটা সবসময়ই একটু দৃঢ় থাকে। বাংলাদেশ গেলে ওরা পেস সহায়ক উইকেটই চাইবে। আমাদের যে বোলাররাই যাক না কেন, সবাই চাইবে সেখানকার উইকেট, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ভালো বোলিং করতে। আমাদের প্রস্তুতিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আমাদের একটি প্রস্তুতি ম্যাচও সম্ভবত আছে। যেখানে অনুশীলনের যে সুযোগটা আমরা পাব, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।’

বিজ্ঞাপন

সামনের বছরেই আবার বিশ্বকাপ। যে বিশ্বকাপের কথা উঠলেই চোখে ভাসে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের স্বপ্ন চুরমার করে দেওয়া রুবেলের ম্যাচজয়ী সেই স্পেল। রুবেল মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ইংল্যান্ডেও ফ্ল্যাট উইকেট থাকবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে, ‘আমি ইংল্যান্ডে অনেক ম্যাচ খেলেছি। সেখানে আমার দুয়েকটা ভালো স্মৃতিও আছে। আমি যদি সুস্থ থাকি আর বিশ্বকাপের মতো বড় একটা জায়গায় যদি আমাকে নির্বাচন করে, অবশ্যই আমি চাইবো ভালো খেলার। আমার ভালো যে স্মৃতিগুলো আছে সেগুলো তুলে আনার চেষ্টা করবো। এখানে আমি ভালো খেলেছি। আমি চাইবো এখানে ভালো খেলার সেই ব্যাপারগুলো তুলে আনার। ভালো কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

আপাতত রুবেল অবশ্য সামনের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন।

 

সারাবাংলা/ এএম/এসএন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন