বিজ্ঞাপন

গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হতে পারে: রাজউক চেয়ারম্যান

March 7, 2023 | 11:32 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ জমে থাকা গ্যাসের কারণে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে আমাদের জানিয়েছে, ওই ভবনে গ্যাসের লাইনের ছিদ্র থেকে গ্যাস জমেছিল। সেটা থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে। আর তাই ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রাজউক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, এখনো মনে হচ্ছে ভবনটিতে লিকেজ ছিল। এ কারণে অনেক গ্যাস জমে থাকতে পারে। হয়ত তখন কেউ ম্যাচের কাঠি জ্বালানোর ফলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ফায়ারের কর্মকর্তারা এখনো চূড়ান্তভাবে কিছু বলেনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ভেতরে কেউ আটকা থাকতে পারে। পুলিশ থেকে শুরু করে রাজউক কর্মকর্তারা ভবন মালিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভবনের ভেতর থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভেতরে থাকা মালামাল সরিয়ে নিতে ফায়ারের কর্মীরা কাজ করছেন।

এ ঘটনার পর ভবনটির বেজমেন্টে এখনও কেউ আটকা আছে কি না তাও দেখছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা, জানান রাজউক চেয়ারম্যান।

সন্ধ্যা সাত ৭টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অপারেশন) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ভবনটি বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় উদ্ধারকাজ স্থগিত করেন। তবে রাত সাড়ে ৯টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান আবার শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিস্ফোরণের কারণে ভবনের কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজউক, সেনাবাহিনীর টিম আমার পাশে দাঁড়ানো, তারা সবাই বলছেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়তে পারে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছে। একটু স্টেবল মনে হলে তখন ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করা হবে। আমরা আপাতত সেনাবাহিনীর সহায়তায় থ্রোলিং করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণে ভবনটির গ্রাউন্ডফ্লোর ও আন্ডারগ্রাউন্ড বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলাম ও পিলারগুলোতে ফাটল ধরেছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় আমরা ঢুকতে পারছি না। ভেতরে এখনও অনেকে আটকা থাকতে পারেন।

বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি। উদ্ধার অভিযান সমন্বিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান শেষে সেনাবাহিনীর টিম, পুলিশের টিম, তদন্তকারীরা তদন্ত শেষ করলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বিজ্ঞাপন

বিল্ডিংটির বেজমেন্টে কোনো গ্যাসের লাইন ছিল না বলে দাবি করেছে মালিকপক্ষ। তবে কয়েকটি চেম্বার ছিল। গ্রাউন্ডফ্লোরে ৮টি দোকান ছিল।

সারাবাংলা/এসবি/আইই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন