বিজ্ঞাপন

‘আবারও অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসতে আদানির সঙ্গে চুক্তি’

March 10, 2023 | 8:57 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘সরকারের দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি করেছে আবারও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার জন্য’— এমনটিই অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ অভিযোগ করেন।

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির অসম চুক্তি বাতিলের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয় জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নিজ দেশের স্বার্থ বলি দিয়ে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি করেছে। এ কোম্পানি নিজ দেশেই বিতর্কিত। এ চুক্তির বিরুদ্ধে খোদ ভারতে সমালোচনার ঝড় বইছে।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা ৭ টাকার বিদ্যুৎ কেন ১৮ টাকায় কিনব? আপনার ক্ষমতার স্বার্থে কার টাকা দিয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনছেন? এ টাকা আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বা আওয়ামী লীগের না, জনগণের কষ্টার্জিত টাকা। জনগণের টাকা লুটপাট করার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে?

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর এই অবৈধ চুক্তি হলেও সরকার তা প্রকাশ করেনি। দেশের লোকাল কোম্পানি ৬. ১২ টাকায় ইউনিট দেওয়ার কথা বললেও সরকার কর্ণপাত করেনি। এমনকি সরকারের আর্শীবাদপুষ্ট এস আলম গ্রুপও ৭ টাকা ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাইলেও সরকার সায় দেয়নি। সে বিদ্যুৎ সরকার আদানির সাথে ১৮ টাকা ইউনিটে চুক্তি করল। যেখানে নেপাল ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে মাত্র ৭ টাকায়।’

বিজ্ঞাপন

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি করে জনগণ ও দেশের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কার স্বার্থে, কাকে খুশি করার জন্য আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের চেয়ে তিন গুন বেশি দামে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে, জাতি তা জানতে চায়।’

তিনি বলেন, এটি এতটাই ভয়ানক চুক্তি যে, আগামী ১৫ বছর এই কোম্পানির কাছ থেকে আমরা এই বেশি বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য। অন্য সরকার এসে তা পরিবর্তন করতে পারবে না। পরিবর্তন করলেও বাংলাদেশ সরকারকে তার চুক্তির পুরো অর্থই পরিশোধ করতে হবে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘কেন এ চুক্তি এতদিন গোপন রাখা হলো। সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে রাষ্ট্রের প্রধান যদি অন্য কোনো রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে কোনো চুক্তি করেন, তা সংসদ তুলতে হবে। কেন তা করা হলো না? কেন গোপন আঁতাত? আমরা নিজ থেকে এ চুক্তির বিষয়ে কিছুই জানলাম না। অথচ বহিঃবিশ্বে এই চুক্তি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কিন্তু সরকার এখনও এ বিষয়ে কোনো ব্যাখা দেয়নি। শুধুমাত্র অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে একটি রাষ্ট্রকে খুশি রাখতেই এ চুক্তি।’

মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান বিজু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, আয়োজক সংগঠনের বাবুল বিশ্বাস, মুকিম খান, রাজু আহমেদ খান ও গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন