বিজ্ঞাপন

‘নির্বাচন চলাকালীন মোবাইল-ইন্টারনেট গতি কমানো স্বচ্ছতা পরিপন্থী’

March 13, 2023 | 4:55 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাচন চলাকালীন মোবাইল ও ইন্টারনেট গতি কমানো স্বচ্ছতার পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এটা যদি কোনো অপকৌশল হিসেবে করা হয়, তাহলে বিষয়টা নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে বির্তকিত করবে। এটা সরকারের অনুধাবন করা উচিত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ মার্চ) নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসির ( আরএফইডি) সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এসব কথা বলেন।

মোবাইল ও ইন্টারনেট গতি কমানো নিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটা কে করে, আমি জানি না। আমরা করি নাকি সরকার করে, না হোম মিনিস্ট্রি করে, নাকি ডিফেন্স মিনিস্ট্রি করে- আমার জানা নেই। তবে সরকারের কাছে আমার ব্ক্তব্য হলো- এটা যেই করে থাকুক, নির্বাচনের দিন এই জিনিসগুলো না করাই বোধ হয় ভালো। কারণ, এতে জনমনে শঙ্কার উদ্বেগ হবে। অনেকেই হয়তো ভাববেন- কোনো একটি অপকর্ম করার উদ্দেশ্যে এটা করা হচ্ছে।’

কাজী হাবিবুল আইয়াল বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সব বিষয়ে স্বচ্ছতা লাগবে। গত নির্বাচন নিয়ে একটা পাবলিক পারসেপশন নেগেটিভ ক্রিয়েট হয়ে গেছে। হয়তো এটি সত্যি নয়। সবকিছু অসত্যও হতে পারে। কাজেই স্বচ্ছতার বিষয়টিতে আমাদের জোর দিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার যেমন পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে- তেমনি অনেকে বলেছেন সাংবাদিকদেরও বিশ্বাস করবেন না; তারাও হাইলি পলিটিক্যাল পোলারাইজড। এটি একটি বড়ধরনের সংকট। সাংবাদিকরা যদি হাইলি পোলারাইজড হয় তাদের প্রতিবেদন থেকে আমরা বুঝার চেষ্টা করব। সেই বিষয়টি আমাদের ডেভেলপ করতে হবে। তবে আমি মনে করি না, বা বিশ্বাস করি না মাঠের সাংবাদিকরা পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন করেন। হয়তো কিছু হতে পারে। কিন্তু ব্যাপকভাবে এটা করা সম্ভব নয়।’

নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের অনিয়ম প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতা খর্ব করা ঠিক হবে কি না জানি না। তবে তারা যদি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেনে এবং অপকর্মে লিপ্ত হন তাহলে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা কোনো অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমের মাধ্যমে যদি স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে আমাদের বির্তকের ঊর্ধ্বে থাকার সুযোগ সৃষ্টি হবে। কারণ, নির্বাচন কমিশন যাই করুক না কেন গণমাধ্যমে কীভাবে আমাদের তুলে ধরছে, সেটা একটা বিষয়।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের গণমাধ্যম ৫০ বছর আগের মতো নয়। গণমাধ্যম সবার ভূমিকা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারেন। গণমাধ্যমের বিপক্ষে কখনোই আমাদের অবস্থান নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের কর্মকাণ্ডকে যদি জনস্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করার প্রযোজন হয় সেগুলো আমরা দেখব। তবে গণমাধ্যমের দায়িত্ব পালনে আমাদের বিধি-বিধান আরও সহায়ক হোক।’

গণমাধ্যম যদি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার চিত্র ধারণ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে পারে, তাহলে আগামী নির্বাচন দেশবাসীর কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হতে পারে বলে মনে করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার- রাশিদা সুলতানা, আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর। এছাড়াও আরএফইডির সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুকিমুল আহসান হিমেলসহ বিটের প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন