বিজ্ঞাপন

শত বছরের ইতিহাসে কোভিড নিয়ন্ত্রণে সফল জাহিদ মালেককে সংবর্ধনা

March 14, 2023 | 11:21 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিশ্বের ১০০ বছরের ইতিহাসে কোভিড মহামারি নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন ও ভ্যাকসিন-সংক্রান্ত অভাবনীয় সাফল্যের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)।

বিজ্ঞাপন

‘বিশ্বের ১০০ বছরের ইতিহাসে কোভিড মহামারি নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন, ভ্যাকসিন–সংক্রান্ত অভাবনীয় সাফল্য এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতের সম্পৃক্তকরণ ও উদ্বুদ্ধ করার জন্য’ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিপিএমসিএর সভাপতি এম এ মুবিন খান।

সংবর্ধিত হওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আজ আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হলো- এটি আমি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) গোটা চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পক্ষে গ্রহণ করে সম্মানিত বোধ করছি। এর মাধ্যমে গোটা স্বাস্থ্যখাতকে সম্মান দেওয়া হলো। সেজন্য আমি বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

করোনার সময়ে দেশের বেসরকারি স্বাস্থ্যখাত একযোগে তার নির্দেশনা মেনে কাজ করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময় দেশে-বিদেশে সব মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত ছিল। শুরুতে মানুষ কোনো এলাকায় হাসপাতাল করতে দিতেন না। সে সময় দেশের প্রাইভেট মেডিকেল হাসপাতালগুলো সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমরা প্রাইভেটখাতকে বলেছিলাম করোনার জন্য হাসপতাল ডেডিকেটেড করতে। তারা সেটি মেনে নিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিশ্বের রোল মডেল কোনো ম্যাজিকের মাধ্যমে হয়নি। এই রোল মডেল হয়েছে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা, উদ্যোগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে। এই মহামারি মোকাবিলা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড মোকাবিলায় সাফল্য গোটা জাতির জন্যই একটি বিশেষ অর্জন ও সফলতা। এই সফলতায় সব থেকে বেশি অবদান রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি সময়োপযোগী দিক নির্দেশনা ও কর্মপরিকল্পনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সার্বিক দায়িত্ব কাধে তুলে নিয়ে এই মহামারিতে সম্মুখে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা সেভাবে কাজগুলো করে গেছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখন যা চেয়েছি তিনি সেগুলো দিতে এক মুহূর্তও বিলম্ব করেননি। করোনা মোকাবিলায় আমরা আজ বিশ্বের ৫ম স্থান পেয়েছি, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এই কৃতিত্ব আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোভিডকালে কিন্তু দেখেছি এই দেশের সব রোগীকে আপনারাই চিকিৎসা দিয়েছেন। দেশে কিডনি, লিভার ট্রান্সপ্লান্ট হচ্ছে। প্রতি বছর দেশের মেডিকেল কলেজে বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে আসেন। এ খাত থেকে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করি। আমি বিশ্বাস করি, সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন বিদেশ থেকেও চিকিৎসা নেওয়ার জন্য এ দেশে রোগী আসবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন খান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ ও পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমানকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন