বিজ্ঞাপন

‘নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের পদলেহনে বিএনপি’

March 14, 2023 | 11:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতারা জানেন যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সে কারষে তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণের কাছে না গিয়ে তারা এখন বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ক্ষণে ক্ষণে ধর্না দিচ্ছে এবং অনেকে বলছে বিদেশি কূটনীতিকদের পদলেহন করছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে সম-সাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

বিদেশি কূটনীতিকদের পদলেহন করে বাংলাদেশে মানুষের মন জয় করা যায় না উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হয়তো কোনো কোনো কূটনীতিকের পদলেহন করে তাদের মন জয় করা যেতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করা যায় না। মানুষের মন জয় করতে হলে, সমর্থন পেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না’ এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সেই সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ ও বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রথমে বিএনপি ২৯টি আসন পেয়েছিল অর্থাৎ বেগম জিয়ার ভবিষ্যৎ বাণী তার নিজেদের বেলায় সত্য হয়েছিল। এবার বেগম জিয়া কারাগারে। আমি আশ্চর্য হব না যদি মির্জা ফখরুল সাহেবের এই ভবিষ্যৎবাণী তার দলের ব্যাপারে সত্য হয়। এ ধরণের অবান্তর কথা বলা সমীচীন নয়।’

বিজ্ঞাপন

‘বিএনপি বারবার বলছে তারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না’ এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তো কোনো সুযোগ নাই। কারণ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে নির্বাচন হবে আশা করি সেখানে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে।’

তথ্যমন্ত্রীকে তার সাম্প্রতিক পঞ্চগড় সফর নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘সেখানে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জিজ্ঞাস করলেই জানা যায় কারা এই ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে, কারা ঘটিয়েছে। ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালে যে কায়দায় হামলা হয়েছিল, যে কায়দায় অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্য হয়েছিল একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং বিএনপি যে তা করেছে সেটি তারা স্বীকার করে নিয়েছে। বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানা, জিএম সিরাজ এবং হারুন-অর-রশীদের পোস্ট থেকেই প্রমাণিত হয় যে, তারা এটি ঘটিয়েছে। আর মির্জা ফখরুল সাহেব ১৩ তারিখ ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে বলছেন, ‘ঠাকুরঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’। এটা বলে তো কোনো লাভ নাই, উনার নেতারাই প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এবং তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসলে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল, যেটি পুরোপুরি সফল হয়নি।’

মন্ত্রী হাছান আরও জানান, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ২০টি মামলা হয়েছে, ১২০ জনের বেশি গ্রেফতার হয়েছে। এবং নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, কোনো দল-মত না দেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন