বিজ্ঞাপন

‘সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে বিএনপির দড়ি ছিঁড়ে পড়ে গেছে’

March 18, 2023 | 3:22 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিএনপির সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের মৌসুমী আবাসিক এলাকায় এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি একথা বলেন। মৌসুমী আবাসিকের আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন, ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠনের একমাস পর থেকেই বিএনপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তারা ঘি ঢেলেছিল। বিএনপি এবং তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল এই ঘটনার সঙ্গে। বিডিআর বিদ্রোহ যেদিন হয়, সেদিন প্রত্যুষে বেগম খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গে তিনি বহুবার কথা বলেছেন, সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।’

সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকারকে টেনে নামাতে বহুবার চেষ্টা করে বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, দড়ি ছিঁড়ে পড়ে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক। এগুলোতে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।’

বিজ্ঞাপন

‘সরকার ক্ষমতাই থাকবে কি থাকবে না, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না, সেই সময় দেওয়া না দেওয়ার মালিক হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। জনগণ দেশ পরিচালনার জন্য আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন।’

সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে মারামারি, পুলিশের লাঠিচার্জ এবং জালিয়াতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে যত কলঙ্কজনক ঘটনা, সবই বিএনপি ঘটিয়েছে। তারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনকে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কলঙ্কিত করেছে। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে যেভাবে তারা কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল তারা, ঠিক সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে বিএনপি। এজন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।’

‘ঢাকা বারের নির্বাচনে বিএনপির আইনজীবীরা অংশগ্রহণ করেছিল। সেখানে তারা শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের আগেই বুঝতে পেরেছে জয়লাভের কোনো আশা নেই। সেজন্য তারা প্রথমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় এবং পরে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে। তারা নির্বাচন পরিচালনা করার স্থাপনাগুলো ভাংচুর করেছে।’

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরাসনের জন্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। এই প্রকল্পের কাজ চলছে। আশা করি আগামী মৌসুমে আগের মতো জলাবদ্ধতা আর হবেনা। চট্টগ্রাম শহরে পৌনে এক কোটি মানুষ। সবাই মিলে যদি রাস্তাঘাট ময়লা করি, সিটি করপোরেশনের চার হাজার কর্মীর পক্ষে পরিষ্কার রাখা কোনদিনই সম্ভব না। ড্রেন করার পর সেই ড্রেনে যদি আমরা পলিথিন ও বাসা বাড়ির ময়লা ফেলি তাহলে সেই ড্রেন কখনো সচল থাকে না।’

‘সিঙ্গাপুর, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু শহর আছে যেখানে থুথু ফেললে জরিমানা দিতে হয়। পৃথিবীর অনেক দেশে গিয়েছি, কোনো দেশে আমাদের মতো যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার অবস্থা নেই। কিন্তু আমরা যখন বিদেশে যাই, তখন কিন্তু যেখানে সেখানে ময়লা ফেলি না। এই কাজ থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকতে হবে।’

ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন