বিজ্ঞাপন

‘বাংলাদেশের মানবাধিকার সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন সঠিক’

March 22, 2023 | 5:48 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিবেদন তুলে ধরেছে, সেটা সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তে আয়োজন এক স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। দলটির প্রয়াত মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৬ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কারণ, দেশে এখন গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা নেই। রিপোর্ট প্রকাশের পর আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের মতো বানিয়ে কথা বলছে। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতেই বিশ্বব্যাপী কাজ করছে। এই প্রতিবেদন দেখে আমরা লজ্জিত হয়েছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সব গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছিল। ১৯৭১ সাল থেকে আওয়ামী লীগ একক ক্ষমতা, একক নেতৃত্বে বিশ্বাস করে আসছে। তারা সচেতনভাবে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কাউকে সম্মান দিতে জানে না। তারা সবাইকে ছোট করে দেখাতে পছন্দ করে। তাজউদ্দিন আহমেদ, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাম মুখেও আনে না।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগ একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার পুরনো স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে। তারা সচেতনভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র সরিয়ে ফ্যাসিবাদ, কর্তৃত্বববাদ, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করছে। গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে তারা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য গণঅভ্যুত্থানর মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্মাণে যেসব মানুষ অবদান রাখছে, তাদের স্মরণ করা হয় না। তাদের নাম পরিকল্পিতভাবে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকরর। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তাদের হীনমন্যতার কারণে শুধুমাত্র একজনকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’

বিজ্ঞাপন

কেএম ওবায়দুর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আজ আমরা যেসব কথা বলছি বাংলাদেশ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, দেশের গণতন্ত্র, ন্যায় নীতি, অর্থনীতির বৈষম্য দূর করে যথাসাধ্য সাম্য প্রতিষ্ঠা করা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা ছিল কে এম ওবায়দুর রহমানের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন আজ ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। যে দেশে গণতন্ত্র নাই, সে দেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। র্বাংলাদেশে এখন মানবাধিকার নাই, সেটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। যে দেশে জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হয় না, সেই দেশে জনগণের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা থাকে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীরি খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণকে বাদ দিয়ে অব্যহতভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখার রাজনীতি করেছে আওয়ামী লীগ। সংবিধানকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে তারা। জনগণকে বাইরে রেখে সংবিধানের কথা বলা আওয়ামী লীগের মুখে শোভা পায় না। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা ভোগ করছে তারা।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র নয়, সংসদীয় একনায়কতন্ত্র চলছে। ক্ষমতা পড়ে থাকবে, আওয়ামী লীগকে থাকতে দেওয়া হবে না। গণঅভ্যুত্থান, গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকার বিদায় হবে। এ লড়াই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের লড়াই।’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মাদারীপুর জেলা বিএনপি সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলী জাহান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ এজেড/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন