বিজ্ঞাপন

শেষ হলো নিশোর সিনেমার প্রথম স্লটের শুটিং

March 22, 2023 | 5:54 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট

ঢাকা: ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিন জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে হয়েছে সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ এর মহরত। এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় আসছেন হালের ক্রেজ আফরান নিশো।

বিজ্ঞাপন

পরিচালক রায়হান রাফী মার্চের প্রথম সপ্তাহের দিকেই শুরু করেছেন এই সিনেমার শুটিং। প্রেক্ষাগৃহের জন্য নির্মিত এই সিনেমায় নিশো সাথে জুটি বেধেছেন সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী তমা মির্জা।

ওটিটি, টিভি, ইউটিউব নানান মাধ্যমের বিভিন্ন কনটেন্টের জন্য বহুবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন নিশো। তবে বড়পর্দা অর্থাৎ প্রেক্ষাগৃহের সিনেমার জন্য এবারই প্রথম তিনি ক্যামেরার সামনে।

শুটিং করে কেমন লাগছে জানতে চাইলে নিশো বলেন, ‘অবশ্যই অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে। এটা আমার প্রথম সিনেমা। সিলেট সুনামগঞ্জের দুর্গম এলাকায় আমরা সবাই মিলে প্রায় ১০দিন শ্যুট করেছি। সবার থাকা-খাওয়ার খুব কষ্ট ছিল। আমাদের সবার অনেক পরিশ্রম হলেও ভিজ্যুয়ালি বা প্যারফমেন্সে দর্শক উপভোগ্য, রুচিশীল, মার্জিত কিছু দেখতে পাবে।’

বিজ্ঞাপন

চরিত্রতা কতক্ষাণি চ্যালেঞ্জিং প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পরিচালক রাফীর সাথে এইটাই আমার প্রথম কাজ। আমি সব সময় চেষ্টা করি পরিচালকের সাথে আরাম করে কাজ করতে। এজন্য আমরা অনেক আলোচনা করে জেনে-বুঝে কাজটা করেছি।’

দর্শকের উদ্দেশে নিশো বলেন, ‘এখনও দুই স্লট শুট বাকি আছে। যে পরিশ্রম করছি সেটা দর্শক আমাদের কাজে দেখতে পাবে।’

তমা মির্জা বর্তমান বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। ওটিটিতে তিনি এখন সবচেয়ে আলোচিত অভিনেত্রী। সুড়ঙ্গ-এর শুটিং অভিজ্ঞতা তিনি বলেন, ‘অনেক বছর পর আমি এরকম কষ্ট করে শুটিং করেছি। শুধু আমি না পুরা টিম শুটিংটা করতে গিয়ে অনেক কষ্ট করেছে। তারপরও শান্তির জায়গা একটাই যে আমরা যতটুকু শ্যুট করেছি তাতে কোনো কম্প্রমাইজ করিনি। যাই হোক না কেনো দিন শেষে কাজটা যে ভালো হচ্ছে এটাই আমাদের পাওয়া।’

বিজ্ঞাপন

নিশোর সাথে কাজ করে কেমন লেগেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সিনেমায় আমার চরিত্রটা একটু ট্রিকি/কৌশলী। পরিচালক রাফীর সাথে আমার আগে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। তিনি কাজের প্রতি খুবই হেল্পফুল। নিশো ভাইয়ের সাথে এটা আমার প্রথম কাজ। তিনি আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন, আমার কাজটাকে আরও সহজ করে দিয়েছেন।’

পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, ‘সুড়ঙ্গ সিনেমার প্রথম স্লট শ্যুট শেষ করেছি আমরা। এই স্লটে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল লোকেশন। একদম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অর্থাৎ রিমোট লোকেশনে শ্যুট করেছি। সেখানে বছরের অর্ধেক সময় পানি থাকে আর বাকি সময় মাটি। সেখানে সেট বানানো, শ্যুট করা পুরা ব্যাপারটাই ছিল কষ্টের।

‘প্রায় ২০০ জনের টিম নিয়ে সেখানে কাজ করাটা আমার জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। এখন আমরা দ্বিতীয় স্লট শ্যুট শুরু করবো। এইবারের শ্যুটটা আমাদের জন্য আরও কঠিন হবে। দর্শক দেখে আনন্দ পেলে তবেই আমাদের এই কষ্ট স্বার্থক হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন