বিজ্ঞাপন

‘বঙ্গবন্ধু কন্যার সময়ে আমরা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাব’

March 25, 2023 | 11:50 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সময়ে আমরা যুদ্ধপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। তার সময়ে আমরা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পাব। এ জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় ২৫ মার্চ সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেন বক্তারা। বাংলাদেশের গণহত্যা অস্বীকারকারীদের উদ্যোগ নস্যাৎ এবং দেশে দেশে গণহত্যা নিরুৎসাহিতকরণের পাশাপাশি গণহত্যাকারীদের চলমান বিচারের সমর্থনে এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে সরকার, বিশেষভাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান বক্তারা।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভায় ডা. দীপু মনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যখন বাংলাদেশ চলে যাচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তখন আমরা দেখি, কোনো কোনো বিশ্ব মোড়ল বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন তুলছেন। তারা বিভিন্ন অধিকারের কথা বলেন। এসব অধিকার আমরা আওয়ামী লীগের সময়ে পেয়েছি। এই বিশ্ব মোড়লদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকারের কথা বলে ফের অপশক্তিকে একই পাল্লায় মাপব— তা হলে হবে না। যারা মাপে, তারা অধিকারের পক্ষে নয়; বরং অধিকার হরণের পক্ষে।’

সভায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বাংলাদেশের সংসদ আজকের দিনকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে গত ছয় বছরে এটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের দেশে স্বাধীনতাবিরোধী চেতনাগুলো দিন দিন শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও এটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য যে ধরনের প্রচেষ্টা চালানো দরকার সেটিও আমরা করতে পারিনি। এ জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক, গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট’র সভাপতি বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী মানবাধিকার নেত্রী আরমা দত্ত এমপি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদত হোসেন প্রমুখ।

এর আগে আলোচনা সভার শুরুতেই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রজন্ম ’৭১-এর সভাপতি মুক্তিযুদ্ধে শহিদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর পুত্র আসিফ মুনীর তন্ময়। আলোচনা সভা শেষে ৫৩টি মশাল প্রজ্বলন করা হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের দিকে আলোর মিছিল নিয়ে পদযাত্রা করেন তারা।

সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন