বিজ্ঞাপন

‘তত্ত্বাবধায়ক না দিলে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে’

March 29, 2023 | 7:28 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‍বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন না হলে কী হবে, তা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে বিএনপি কী করবে?’ –এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কী হবে? জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। ডেফিনেটলি। বরাবর যেভাবে নিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটা যে এসছিল, সেটা তো একটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এসেছিল- এটা অস্বীকার করতে উপায় নেই। আমরা গ্রহন করেছি। কারণ আমরা জনগনকে বিশ্বাস করি, ভালোবাসি। আমরা চাই যে, জনগণের মতামতটা উঠে আসুক সেই কারণে আমরা সেটা মেনে নিয়েছি।’

কিন্তু জনগণকে মানবেন না, টোটালি বিচ্ছিন্ন করে দেবেন, উড়িয়ে দেবেন, জনগণের মতামতকে কোনো পাত্তাই দেবেন না। এখন তো সেই রাস্তায় চলে গেছেন- যে এট এ্যানি কস্ট ক্ষমতায় থাকতে হবে। জনগণ কোথায় সেখানে?-প্রশ্ন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীরের।

বিজ্ঞাপন

দাবি না মানলে ওয়াকওভার দেবেন কিনা?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ওয়াকওভারে কখনোই বিশ্বাস করি না। আমরা যেটা বিশ্বাস করি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ফর ইলেকশন। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার আগে রিজানইড ফাস্ট। সংসদ বাতিল করেন, নতুন একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। নির্বাচন হবে..এক‘শ বার নির্বাচনে যাবো। নির্বাচন ছাড়া তো আমি যে রাজনৈতিক দল করি, যে লক্ষ্য নিয়ে করি রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব নিয়ে জনগণের কাজ করব, উন্নয়ন করব, এক‘শ বার। তার জন্য তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে বয়কট করেছিলাম। ২০১৮ সালে আমরা ওয়াক ওভার তো দিতে চাইনি। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে একবার না দুই দফা তিনি সকলের সামনে প্রমিজ করলেন যে, একদম নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, কোনো রকমের অত্যাচার-নির্যাতন হবে না, পুলিশি নির্যাতন হবে না, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে না, ভোটে কারচুপি-ছলচাতুরি এগুলো হবে না। বারবার করে উনি বলেছেন। কী লাভ হয়েছে। এখন আপনি যা ই বলেন, যত সুন্দর ভাষায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার যাই বলেন কি হবে?’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে ভোরে একজন সাংবাদিককে সিআিইডি বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে এটা ভয়াবহ ঘটনা। আমি গতকাল রাতে যেটা দেখলাম সময় ও একাত্তর টেলিভিশনে যে, তারা একটা ফিচার করেছে যে, এই মুহূর্তে কেন সরকারকে বিব্রত করার জন্য এই ধরনের একটা রিপোর্ট করেছে। কী অপরাধ করেছে সেই সাংবাদিক, বুঝলাম না।’

তিনি বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে যে, সত্য যে ঘটনা সেই ঘটনা সে তুলে ধরেছে। একজন মানুষের যে উক্তি সেই উক্তিটা তুলে ধরেছে। কী এমন অপরাধ হয়েছে? অপরাধটা কি বলছে যে ২৬ মার্চের দিন এটা করা হয়েছে যে, স্বাধীনতাকে অপমান করা হয়েছে, তার মানহানি করা হয়েছে এটা বলা হচ্ছে্।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একজন মানুষ যদি স্বাধীনতার দিন ক্ষুধার্ত বোধ করে, সে যদি বঞ্চিত বোধ করে এবং সে যদি ওই কমেন্টটা দেয় যে, আমার এই দেশ স্বাধীন হয়ে কী লাভ হলো? কী অপরাধ হয়েছে, অপরাধটা কোথায়?’

তিনি বলেন, ‘এটা তো সত্য যে, স্বাধীনতা আমাদেরকে খেতে দেয় না, যে স্বাধীনতা এভাবে মানুষকে নির্যাতন করে, নিপীড়ন করে, হত্যা করে সেই স্বাধীনতা সম্পর্কে তো প্রশ্নই উঠতে পারে। তা লাভ কী? খেদ উক্তি যেটাকে বলে। তার অর্থ তো এই নয় যে, সে স্বাধীনতা বিরোধী।’

বিজ্ঞাপন

ফখরুল বলেন, ‘এগুলো আরও ক্ষতি করছে সরকারের। সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরার কারণে একজন সাংবাদিককে যদি হেনস্তা করতে হয় সেটা কি সরকারকে কোনো প্লাস পয়েন্ট দিচ্ছে, কোনো ক্রেডিট দিচ্ছে। ইন নো ওয়ে।’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বলে বাংলাদেশে সবসময় এই ধরনের কাজ যে সরকার করেছে, পাকিস্তান আমলে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে কেউই কিন্তু রক্ষা পায়নি। এটা করে তো সরকারের লাভ হবে না। আমি শাসসুজ্জামান শামসের আটকের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন