April 1, 2023 | 2:59 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে রাশিয়া। ১৫ সদস্যের এই পরিষদের প্রত্যেক সদস্য এক মাসের জন্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করে থাকে। এবার সেই দায়িত্ব পড়েছে রাশিয়ার উপর। তবে রাশিয়াকে এমন দায়িত্ব দেওয়ায় ক্ষুব্ধ ইউক্রেন।
এর আগে শেষবার রাশিয়া এই পরিষদের সভাপতি ছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সে সময় ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল মস্কো। ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে চলতি মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এর অর্থ হলো, এবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি এমন একটি দেশ হয়েছে যেদেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব রাশিয়ার হাতে যাওয়ায় তুমুল সমালোচনা করছে ইউক্রেন। এটিকে একটি কৌতুক বলে আখ্যায়িত করেছে তারা।
রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের একটি। অন্যান্য স্থায়ী সদস্যরা হলো- যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং চীন। ইউক্রেনের অভিযোগ সত্ত্বেও স্থায়ী সদস্য রাশিয়াকে সভাপতির পদ গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে পারে না অন্যান্য সদস্যরা।
যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির পদটি মূলত নিয়মতান্ত্রিক। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া না নেওয়ার বিষয়ে আলাদাভাবে প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ নেই। তবে জাতিসংঘে মস্কোর রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বার্তাসংস্থা তাস নিউজকে জানিয়েছেন, সভাপতি হিসেবে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণসহ বেশ কয়েকটি বিতর্ক তদারকি করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
তাস নিউজকে তিনি জানিয়েছেন, একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন যা এককেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করবে।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা রাশিয়ার সভাপতিত্বকে এপ্রিল ফুল দিবসে সর্বকালের সবচেয়ে বাজে তামাশা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, এই পরিষদ যেভাবে কাজ করছে তাতে কিছু ভুল আছে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, এই পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক আইনের ধর্ষণের শামিল।
সারাবাংলা/আইই