বিজ্ঞাপন

প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বাণিজ্য খাত সংস্কারের তাগিদ বিশ্ব ব্যাংকের

April 4, 2023 | 4:07 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে এমন প্রবৃদ্ধি হতে পারে। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বাণিজ্য খাতে সংস্কারের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সেটি বেড়ে গিয়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট ২০২৩ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে বিশ্ব ব্যাংক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায় সেক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কোভিডের সময় ভালোভাবে সামাল দিতে পেরেছে। বর্তমান রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। সব কিছু মিলিয়ে চলতি অর্থবছর ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি খারাপ অর্জন হবে না।’

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের চিফ অর্থনীতিবিদ বার্নাড হ্যাভেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক লিড অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত অর্থ বছরের চেয়েও কমবে। এর মূল কারণ বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে নীতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এ ছাড়া এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটাও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন, সরকার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে এতে মূলধনী যন্ত্রপাতি, কাচামাল, ইত্যাদি আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। এ কানণে বিনিয়োগ ও উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ফলে প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আরও বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি কমার কোনো লক্ষন নেই। কারণ, চাহিদা ও যোগান দু’দিক থেকে সমস্যা। যোগানের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যোগানের ক্ষেত্রে ফিসক্যাল পলিসি বাজেট ঘাটতি কমাতে কোন কাজে লাগছে না। বরং গত ৬ মাসে তার আগের ৬ মাসের তুলনায় বাজেট ঘাটতি তিনগুণ বেড়েছে। এছাড়া মনিটরি পলিসিতে রোপোরেট বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সুদের হারের গ্যাপ থাকায় এ উদ্যোগ কোনো কাজে আসেনি। ব্যাংক ঋণ সুদের হারেও গ্যাপ তুলে দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাণিজ্য সংস্কারের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে অনেক নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা চালু আছে। সেগুলো সংস্কার করা গেলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনেক বেশি লাববান হবে বাংলাদেশ। এ সংস্কারের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ কি করল না করল সেটি না দেখে নিজেস্ব মডিউল অনুস্বরণ করে সংস্কার আনতে হবে। ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসিও নিজেস্বভাবেই করতে হবে।

আরও বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে সংস্কার ও সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংস্কার খুব জরুরি। একচেঞ্জ রেট মাল্টিপুল না করে বাজারের উপর এবং বাস্তবতার উপর ছেড়ে দিতে হবে।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমদানি নিয়ন্ত্রণ কোনো টেকসই ব্যবস্থা নয়। স্বল্প মেয়াদে এটি ফল দায়ক হলেও দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বিনিয়োগ হবে না। অর্থনীতির চাকা ঘুরবে না। ফলে রির্জাভও বাড়বে না।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন