বিজ্ঞাপন

‘সংবিধান লঙ্ঘনের দোহাই দিয়ে আর ভোটচুরির সুযোগ দেওয়া হবে না’

April 7, 2023 | 9:34 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনের আগে কিংবা পরে সংবিধান সংশোধন হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সরকারকে কোন পথে যাবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘনের দোহাই দিয়ে আর ভোটচুরির সুযোগ দেওয়া হবে না।’

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কৃষক দলের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ সব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান সরকার অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে। আপনারা মনে করছেন, আপনারা কঠিন অবস্থায় আছেন, কিন্তু আপনাদের চেয়েও বেশি কঠিন অবস্থায় আছে শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রীরা। তাদের কার্যকলাপ এটা প্রমাণ করছে।’

সরকার সাংবাদিকদের লেখার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে প্রথম আলোর একজন রিপোর্টারকে তুলে নিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছিল। তার রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, বাংলাদেশের মানুষের পেটে ভাত নেই। স্বাধীনতা দিবসে একজন দিনমজুর বলেছিলেন- আমাদের পেটে ভাত নেই। এটাই বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার প্রতিচ্ছবি। এর চেয়ে কঠিন পরিস্থিতি বাংলাদেশে আর কখনও ছিল না।’

বিজ্ঞাপন

সাউথ এশিয়ার ইকোনমিক ফোরামের জরিপ দাবি করে তিনি বলেন, ‘গত ছয়মাসে সারাদেশে ২৮ শতাংশ মানুষ আছে যারা একবেলাও ভাত খেতে পারেনি। নতুন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আজকাল আর আগের মতো দুর্ভিক্ষ হয় না। গ্লোবাল ইকোনমিক যে কন্ডিশন সেখানে আগের মতো দুর্ভিক্ষ দেখা যায় না। কিন্তু বাংলাদেশে এখন যে অবস্থা চলছে এটাই দুর্ভিক্ষ। প্রথম আলোর শামসুজ্জামানের লেখায় সেটাই ফুটে উঠেছে। তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় সরকার যে কতটা অসহিঞ্চু, কতটা অগণতান্ত্রিক, কতটা অত্যাচারী সারাবিশ্বের কাছে সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে।’

সরকারের উদ্দেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘন কীভাবে হয়? এই যে শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে গেলেন, একজন মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর মারা গেল, এতে সংবিধান লঙ্ঘন হয় না? গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্যাতন করলে সংবিধান লঙ্ঘন হয় না?

সরকার সংবিধান লঙ্ঘনের দোহাই দিয়ে আবার ভোটচুরির পাঁয়তারা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের আমলে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল না। কিন্তু দেশের প্রয়োজনে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আমরা সেটা করেছিলাম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। এখনও নির্বাচনের আগে কিংবা পরে সংবিধান সংশোধনের সুযোগ আছে। কোন পথে যাবে, সরকারকে ঠিক করতে হবে। সংবিধান লঙ্ঘনের দোহাই দিয়ে এবার আমরা আর ভোটচুরি করতে দেব না।’

বিজ্ঞাপন

কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ ও আজম খানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফর তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগরের আহবায়ক শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া।

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন