‘কাউকে দাওয়াত করে নির্বাচনে আনা সরকারের দায়িত্ব নয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কাউকে দাওয়াত করে, হাতে-পায়ে ধরে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব সরকারের বা সরকারি দলের নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, কেউ আসুক বা না আসুক আগামী নির্বাচন যথা সময়েই হবে।

শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী ‍উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সভাপতিত্ব করছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ গণতন্ত্রকে প্রতিহত করার জন্য, সংসদকে অবজ্ঞা করার জন্য এবং সংসদীয় গণতন্ত্র যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে না পারে সেজন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। রাজপথের বিরোধীদল বিএনপি আজ নানা ষড়যন্ত্র করছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য তারা ৫০০ ভোট কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল। দু’জন নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। কিন্তু সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সংসদের পথচলা অব্যাহত রয়েছে, গণতন্ত্রের পথচলা অব্যাহত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজও সেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ক’দিন আগে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা সংসদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পদত্যাগ করলেন। এটি সংসদের পথচলাকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য, সংসদীয় গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্থ করার জন্যই করেছে। চলতি বছরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ নির্বাচনে আসুক বা না আসুক গণতন্ত্র ও সংসদের পথচলা নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য, সংসদীয় গণতন্ত্র সংহত রাখার জন্য যথাসময়ে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। সবাইকে দাওয়াত করে নির্বাচনে আনা সরকারি দলের দায়িত্ব নয়। সরকারি দল একটি পক্ষ, বিরোধীদল আরেকটি পক্ষ। নির্বাচনে কাউকে নিয়ে আসার দায়িত্ব পালন করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এটি সরকারি দলের দায়িত্ব নয়। যখন নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হয় তখন সরকারের হাতে কোনো দায়িত্ব থাকে না।’ এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম