বিজ্ঞাপন

১১ বছরে বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা পেয়েছেন ১ লাখ কারাবন্দি

April 27, 2023 | 4:56 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে গত ১১ বছরে এক লাখ ৫ হাজার ৬৫০ জন কারাবন্দিকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রকাশিত এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৬৪টি জেলা লিগ্যাল এইড অফিস, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেল, সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টার (টোল ফ্রি-১৬৪৩০) নম্বরের মাধ্যমে বিনা মূল্যে ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯২৯ জনকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সময়ে ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ ২৯ হাজার ১৮৮ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র আওতায় বিনামূল্যে এক লাখ ৫ হাজার ৬৫০ জন কারাবন্দি আইনি সহায়তা পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে (২০১৫ সালের ৮ সেপ্টম্বর সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস উদ্বোধন করা হয়) চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আইনি সহায়তাপ্রাপ্ত উপকারভোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৯৭৭ জন। ৬৪ জেলায় স্থাপিত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আইনি সহায়তাপ্রাপ্ত উপকারভোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ৭২ হাজার ৮০১ জন।

প্রতিবেদনে আরও হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেলে আইনি সহায়তাপ্রাপ্ত উপকারভোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৭৩৮ জন এবং সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় টোল ফ্রি হেল্পলাইনের (২০১৬ সারের ২৮ এপ্রিল আইনি সহায়তায় টোল ফ্রি জাতীয় হেল্পলাইন ১৬৪৩০ উদ্বোধন করা হয়) মাধ্যমে আইনি সহায়তাপ্রাপ্ত উপকারভোগীর সংখ্যা এক লাখ ৫৩ হাজার ৪১৩ জন।

এ ছাড়া ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত এক লাখ ৫ হাজার ৬৫০ জন কারাবন্দি আইনি সহায়তা পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থীদের সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে। এ আইনের আওতায় সরকার ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করে এবং দরিদ্র অসহায় মানুষের আইনের আশ্রয় ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশে এ সংস্থার অধীনে প্রত্যেক জেলায় জেলা ও দায়রা জজকে চেয়ারম্যান করে একটি করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়।

এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টেও একটি লিগ্যাল এইড কমিটি রয়েছে। যার চেয়ারম্যান হচ্ছেন হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন