বিজ্ঞাপন

‘প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটানোর চেষ্টা করলে কঠোর শাস্তি’

April 30, 2023 | 11:41 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব রটানোর আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারিতে আছে। কেউ গুজব রটানোর চেষ্টা করলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

এছাড়া আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা আরও এগিয়ে আনা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বাড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গতবার যে কয়েকটি স্থানে ভুল হয়েছে, তাদের সেই ভুলের কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। অতএব আশা করি পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যারা দায়িত্বে থাকবেন তাদের যেন কোনো ভুল না হয়, সেদিকে খুবই সচেতন থাকবেন।’

বিজ্ঞাপন

বাড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের অপরিষ্কার পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখলাম বাচ্চারা সময় মতো এসেছে, যে কক্ষগুলোতে তাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেগুলো অনেক ভালো। বাচ্চাদের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা আছে। তবে স্কুলের ভেতরটা অপরিষ্কার। পরীক্ষার জন্যও অন্তত স্কুলটা তারা পরিষ্কার করতে পারত।’

নতুন কারিকুলামের সংশোধনী ৪মাস পর দেওয়া হয়েছে। এতো দেরিতে সংশোধনী দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না একবারে দেরি হয়নি। সংশোধনী কিন্তু সারা বইজুড়ে এমনটা নয়। কোন কোন বিশেষ বিশেষ বিষয়ে ছিল, আমার সেই বিষয়গুলোকে বলেছি একটু পরে পড়াতে। আর অন্যগুলো কিন্তু পড়ানো চলছিল। এবার যেহেতু পড়ার ধরন একটু ভিন্ন কাজে কোন অসুবিধা হবে না।’

আগামী বছর সিলেবাস পূর্ণবিন্যাসে পরীক্ষা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে আমরা শিগগিরই বসব। কারণ আগামী বছর যারা পরীক্ষা দেবে তারা পূর্ণ প্রস্তুতির সময় পেয়েছে কিনা এবং আমরা যেহেতু সময়টা আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা করব, সেজন্য নানা বিষয় আছে। সারাদেশের শিক্ষকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা আমাদের নিজেদের মত একটা সিদ্ধান্ত নিলাম, সেটা তো ঠিক হবে না।’

বিজ্ঞাপন

করোনার কারণে লণ্ডভণ্ড হওয়া শিক্ষাসূচি ধীরে ধীরে ঠিক করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছর পরীক্ষাটা আরও এগিয়ে আনা যেত। কিন্তু বন্যার কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবার গত বছরের থেকে অনেক এগিয়ে আনা হয়েছে। আগামী বছর চেষ্টা করব স্বাভাবিকের যত কাছাকাছি যেতে পারি।’

বোর্ড থেকে আগে পাঠালেও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরীক্ষার আগের দিন অ্যাডমিট কার্ড দেয়, বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীর বেতন কিছুটা বকেয়া থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাডমিট কার্ডকে বেতন উদ্ধারের পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করে। যেটা একেবারেই ঠিক নয়। এটার জন্য তো শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা কোনোভাবে ঠিক নয়। এর আগে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কথা আমরা শুনেছিলাম যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। এমন খবর পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা অনিশ্চিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীও যদি শেষ দিন পর্যন্ত অ্যাডমিট কার্ডের অপেক্ষা করে তাহলে সেটা ঠিক নয়। অ্যাডমিট কার্ড না পেলে ৫-৭ দিন আগে অভিভাবকদের বোর্ডের সঙ্গে একটু যোগাযোগ করা উচিত। তাদের সচেতন হওয়া উচিত। অভিভাবকরা যদি জানান প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে অবহেলা আছে তাহলে আমরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব। আমরা একটু আগে জানতে পারলে ব্যবস্থা নিতে পারি।’

বিজ্ঞাপন

এবার আগস্টের মাঝামাঝি এইচএসসি পরীক্ষা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশা করছি আগস্টের মাঝে মাঝে পরীক্ষা হবে। তবে এখনও পরীক্ষার দিন ঠিক হয়নি।’

এদিকে নির্ধারিত সময় অর্থাৎ সাড়ে ন’টার পর কোনো শিক্ষার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাদের রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম বেঁধে দেওয়া হলেও বাড্ডা হাইস্কুলে কোনো রেজিস্ট্রেশন খাতা দেখা যায়নি। এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওনাদের জিজ্ঞাসা করব এ বিষয়ে, ভেতরে নিবন্ধন করেছে কিনা। আর কয়েকটা বাচ্চার ক্ষেত্রে দেখলাম তারা কেন্দ্র ভুল করেছে। প্রথম পরীক্ষার দিন এমন ভুল হতেই পারে। তবে সেগুলো নিশ্চয়ই নিবন্ধিত হবে।’

সারাবাংলা/আরএফ/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন