বিজ্ঞাপন

অক্টোবরে হতে পারে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল: তথ্যমন্ত্রী

May 2, 2023 | 5:25 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আগামী অক্টোবরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র শ্রমিক ফেডারেশন ও প্রেস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা আমার অনুমান ভিত্তিক কথা। ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অক্টোবরের শেষে শিডিউল ঘোষণা করতে হবে।

নির্বাচন কি ডিসেম্বরেই হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কবে হবে সেটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালে তিন মাসের জন্য ছোট আকারে কেবিনেট হয়েছিলো এবছরও কি সেরকম কিছু হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। আর এটার বলার একমাত্র এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাখেন, আমি না।

প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর ও বিশ্বব্যাংক ইস্যুতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে যে ভুল করেছিল সেটি তারা অনুধাবন করতে পেরেছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়ে তারা ওয়াশিংটনে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক এখন বাংলাদেশকে সর্বোতভাবে সহায়তা করতে চায়। আমরা যে সব সময় সবার কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা নেব তা কিন্তু নয়। বিশ্বব্যাংক পরবর্তিতেও পদ্মাসেতুতে সহায়তা করতে চেয়েছিলো কিন্তু আমরা সেটি নেইনি। শুধু তাই নয় ইতিপূর্বে বিশ্বব্যাংক বেশকয়েকটি প্রকল্পে সহায়তা করতে চেয়েছে। আমরা যে সহায়তা নিতে পারবো সেটুকু নেব। সবক্ষেত্রে সহায়তা আমরা নেই না।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, কোনটা নেব আর কোনটা নেব না সেটা ঠিক করার সামর্থ্য আমরা অর্জন করেছি। কেউ সাহায্য করতে চাইলে নিতে হবে বা কোনটা নেব, কোনটা নেব না সেই সামর্থ্য এবং সাহস বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্জন করেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তার প্রস্তাব কিংবা চুক্তি সেটিকে অবশ্যই আমরা অভিনন্দন জানাই। এদিকে আইএমএফের প্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, বাংলাদেশ পৃথিবীতে রোল মডেল এবং অর্থনীতির সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রয়োজন। সুতরাং বিশ্বব্যাংক তাদের ভুল বুঝতে পেরে তারা সর্বোতভাবে আমাদেরকে সহায়তা করতে চাচ্ছে সেটিকে আমরা অভিনন্দন জানাই।

‘সরকার শ্রমিকদের রুটি- রুজির অধিকার লুণ্ঠন করেছে, একই সঙ্গে এক দলীয় শাসন কায়েম করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৬ সালে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল ১ হাজার ৬৬২ টাকা। এখন সেটি ৮ হাজার টাকায় উন্নিত হয়েছে। বিএনপির সময় শ্রমিক কর্মচারী, কৃষকদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এদেশে শ্রমিক কর্মচারীদের অধিকার যদি কেউ লুণ্ঠন করে থাকে বা তাদের অধিকার খর্ব কেউ করে থাকে সেটা হচ্ছে বিএনপি।

তিনি বলেন, বিএনপি ধনী, বণিক শ্রেণি ও লুটেরাদের প্রতিনিধিত্ব করত। এদেশের মেহনতি মানুষের প্রতিনিধিত্ব বিএনপি করে না। জিয়াউর রহমানের বক্তব্য ছিল, মানি ইজ নো প্রবলেম। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সে ঋণ না দেওয়ার সংস্কৃতি জিয়াউর রহমানই চালু করেছিল।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন