বিজ্ঞাপন

ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত ৪২৪ রোহিঙ্গা, এইচআইভিতে ১০৭ জন

December 18, 2017 | 8:56 am

ওমর ফারুক হিরু,কক্সবাজার

বিজ্ঞাপন

দেশে টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে ডিপথেরিয়াকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হলেও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ডিপথেরিয়াই শুধু নয়, এইডস, ডায়রিয়া, হাম, গুটিবসন্ত, চর্মরোগ, পোলিংসহ নানা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। শতাধিক মেডিকেল টিম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করলেও তারা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

এদিকে, গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি। এ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ডিপথেরিয়াতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪২৪ এবং এইচআইভি রোগীর সংখ্যা ১০৭ জন। এছাড়া পোলিওসহ বিভিন্ন সংক্রামক ৭টি রোগে ভুগছে রোহিঙ্গারা। আর তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বিজ্ঞাপন

এসব রোগ যাতে ছড়াতে না পারে সে লক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। টিকাদান কর্মসূচিতে ৬ সপ্তাহ থেকে ৭ বছর বয়স পর্যন্ত আড়াই লাখ রোহিঙ্গা শিশুদেরকে পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়া হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিসবাহ উদ্দিন আহমদ জানান, রোহিঙ্গা শিশুদের ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটেনাস, হেমোফিলিস ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস-বি, নিউমোনিয়া ও পোলিওসহ সাতটি রোগের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

সময়মতো টিকা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ডিপথেরিয়াকে প্রতিরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জেলা সিভিল সার্জন মো. আবদুস সালাম জানান, সঠিকমত টিকা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ডিপথেরিয়া প্রতিরোধ করা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা নাগরিকদের টিকা প্রদান না করায় তারা ডিপথেরিয়া সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত ৪২৪ জন রোহিঙ্গা শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের উখিয়া এমএসএফ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংক্রামক রোগ যাতে ছড়াতে না পারে সে লক্ষ্যে চিকিৎসার পাশাপাশি টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের মাঝে সংক্রামকব্যধি ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে। তবে ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৭ লাখ ৮০ হাজার ৩৪১ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

মিয়ানমারে সেনা, বিজিপি ও রাখাইন উগ্রবাদী জনগোষ্ঠীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২৫ আগস্ট থেকে উখিয়া-টেকনাফের ১২ অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। তারা নিজ দেশ মিয়ানমারে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত থাকায় নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

সারাবাংলা/জেএ/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন