বিজ্ঞাপন

থাইল্যান্ডে গণতন্ত্রপন্থীদের বড় জয়, ৬ দলীয় জোট ঘোষণা

May 15, 2023 | 4:40 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

থাইল্যান্ডের নির্বাচনে সামরিক মিত্রদের বড় ধাক্কা দিয়েছে গণতন্ত্রপন্থী বিরোধীরা। রোববার (১৪ মে) ভোটগ্রহণের পর সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, প্রগ্রেসিভ মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি (এমএফভি) এবং ফেউ থাই মিলে থাই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫০০ আসনের অন্তত ২৯২টিতে জয় পেয়েছে। বিরোধীদের এমন জয়কে বিশ্লেষকরা রাজনৈতিক ভূমিকম্প বলে আখ্যায়িত করছেন।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় বলা হয়, এমএফভি ১৫১টি আসন পেয়েছে। সরাসরি নির্বাচনে এমএফভি জিতেছে ১০৯টি আসন এবং পার্টি লিস্ট থেকে পেয়েছে আরও ৩৯টি আসন।

এমএফভির নেতা ৪২ বছর বয়সী সাবেক প্রযুক্তি নির্বাহী পিটা লিমজারোয়েনরাট এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, সাবেক পাঁচটি বিরোধীদল নিয়ে ৬ দলীয় একটি জোট গঠন করেছেন তিনি। এই জোটের মোট আসন সংখ্যা ৩০৯টি। তিনি নিজে হবেন নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পায়েতোংতার্ন সিনাওয়াত্রা নেতৃত্বে ফেউ থাই পার্টি পেয়েছে  ১৪১টি আসন। ফেউ থাই পার্টির নেতা এক সংবাদ সম্মেলনে ৬ দলের জোটে তাদের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

থাইল্যান্ডের বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের দুই দল পালাং প্রচারত ও থাই নেশন পার্টি সেনাবাহিনী সমর্থিত। ২০১৪ সালে সেদেশে এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই দল দু’টি ক্ষমতায় বসে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চা-ওচাও ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এবার তার নেতৃত্বাধীন জোট মাত্র ১৫ শতাংশ আসনে জয় পেয়েছে।

তবে বিরোধীরা মিলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৩০৯টি আসনে জয় পেলেও সরকার গঠন নিশ্চিত নয়। ২০১৭ সালে সামরিক বাহিনীর শাসনামলে তৈরি নতুন সংবিধান অনুযায়ী, থাই সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোটের সরকার গঠন আটকে দিতে পারে। নতুন সংবিধান অনুযায়ী, ২৫০ সদস্যের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ থাই সিনেট নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে ভোট দিতে পারে। থাই সিনেটের বেশিরভাগ সদস্য সামরিক বাহিনীর সমর্থক।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন