বিজ্ঞাপন

পাহাড় ধসের ঝুঁকি, সরানো হচ্ছে ৫০ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার 

May 9, 2018 | 12:42 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।। 

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ৫০ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে আছে। তাই বর্ষার  আগেই তাদের পাহাড়ের ঢাল থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। এরইমধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৯ মে) চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো মানবিক সহায়তা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী  বলেন,পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা কমপক্ষে ২৫ হাজার পরিবারকে এই মাসের (মে) মধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে। বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে সরানো হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সামনে অতিবৃষ্টি, আগাম বৃষ্টি, ঝড়-তুফানের সম্ভাবনা আছে। এতে পাহাড় ধস হলে রোহিঙ্গা ভাইদের অনেক প্রাণহানি ঘটতে পারে। এই প্রাণহানি ঠেকানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও জানান, রোহিঙ্গাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১১ লাখ ১২ হাজার ৩০৮ জন নিবন্ধনের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে ৩৬ হাজার ৩ শ ৭৩ জন এতিম শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গাদের জন্য ৩০টি ক্যাম্পের আওতায় দুই লাখ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ৯ কিলোমিটার এলাকায় বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। ১৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ এবং ১০ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর জ্বালানি সংকটের কথাও তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, পাহাড় এখন গাছ শূন্য হয়ে গেছে। প্রথমে ডালপালা কাটা হয়েছে। তারপর গাছ কাটা হয়েছে। এখন গাছের গোড়া পর্যন্ত তুলে ফেলা হচ্ছে রান্নার জন্য। আমরা ভারতের কাছে জ্বালানি সহযোগিতা চেয়েছি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা জানান, ভারত রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ হাজার রান্নার চুলা (স্টোভ) এবং এক মিলিয়ন লিটার কেরোসিন তেল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীঘ্রই এই চালান বাংলাদেশে পৌঁছাবে।

বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিভিন্ন সেনা ও পুলিশ চৌকিতে গত বছরের ২৪ আগস্ট একযোগে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা।এর জেরে মিয়ানমারে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে উদ্বাস্তু হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ে বসতি স্থাপন করে বসবাস করছে।

সারাবাংলা/আরডি/জেডএফ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন