কেসিসি নির্বাচন: মেয়র প্রার্থী মুশফিককে প্রতীক দেওয়ার নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিকের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে শফিকুর রহমানের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

রোববার (২৮ মে) প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে মুশফিকের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরান মিয়া। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চোধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল।

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে মুশফিকের আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরান মিয়া বলেন, আদালত স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিকের মনোনয়নপত্র গ্রহণ এবং তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ বার্তার মাধ্যমে আদালতের আদেশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১৮ মে ৩০০ সমর্থনকারী ভোটারের সমর্থনের তথ্য ভুল থাকায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে মুশফিকের প্রার্থিতা বাতিল বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন।

এরপর ২৩ মে আপিল শুনানিতে মনোনয়নপত্র বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক।

আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কেসিসির ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২৮টি কেন্দ্রকে সাধারণ ও ১৬১ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

নির্বাচনে ৪ জন মেয়র, ৩১টি ওয়ার্ডের ১৩৬ সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের ৩৯ প্রার্থী রয়েছেন। ৩১ টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ