বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্বাস: হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

May 9, 2018 | 4:32 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘ভারত সব সময় বাংলাদেশের প্রয়োজনে পাশে থেকেছে। ভারত সবসময় বাংলাদেশের সংকটে তাৎক্ষণিক সাড়া দিয়েছে। আমাদের দু’দেশের সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্বাস, বন্ধুত্ব ও শহীদদের আত্মত্যাগ, যা সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে।’

বুধবার কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ত্রাণ হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এসব কথা বলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বুধবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের দেয়া ত্রাণ বুঝে নেন। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত এ সময়ে ছিলেন। ঢাকার ভারতীয় মিশন থেকে বুধবার দুপুরে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানান হয়।

বিজ্ঞাপন

মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে ভারত সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ৩৭৩ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী দিচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে, ১০৪ মেট্রিক টন গুড়ো দুধ, ১০২ মেট্রিক টন শুঁটকি মাছ, ৬১ মেট্রিক টন শিশুখাদ্য, ৫০ হাজার রেইনকোট এবং ৫০ হাজার জোড়া গামবুট। এ ছাড়া ১ মিলিয়ন লিটার কেরোসিন তেল এবং ২০ হাজার রান্নার চুলাসহ আরও একটি চালান শিগগিরই আসবে বলে বার্তায় জানান হয়।

ত্রাণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে উৎখাত হওয়া মানুষদের ঢলে সৃষ্ট মানবিক সংকট মোকাবেলায় আমরা দ্বিতীয় দফায় ত্রাণ সহযোগিতা নিয়ে আজ (বুধবার, ৯ মে) বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। ২০১৮ সালের এপ্রিলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব বিজয় গোখলের ঘোষণা অনুসারে এই বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ক্যাম্পে বসবাসরত নারী ও শিশুদের কথা ভেবেই এই সামগ্রীগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি যে, ক্যাম্পে বসবাসরত মানুষের জন্যে এই ত্রাণ কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।’

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘আমরা জানি, এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ঢল বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তাদের সহযোগিতা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয় এবং আমরা মনে করি এই কাজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি ও সমর্থন পাবার দাবিদার। আমরা খাদ্য, পোশাক, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রশংসা করি। বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে আমরা আশা করছি আমাদের এই প্রচেষ্টা কিছুটা হলেও আপনাদের কাজে লাগবে ।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন