বিজ্ঞাপন

প্রস্তাবিত বাজেটে জুয়েলারি শিল্পের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: বাজুস

June 5, 2023 | 1:53 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে আশার আলো দেখা গেলেও, জুয়েলারি শিল্পের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। পাশাপাশি প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে আনয়নকৃত গহনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ১০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এতে স্থানীয় সোনা শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় জুয়েলারি শিল্পের দিকে ক্রেতা সাধারণ আকৃষ্ট হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৫ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সহ-সভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। এ সময় বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহ-সম্পাদক ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সমিত ঘোষ অপু, স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য সচিব পবন কুমার আগরওয়াল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, আগামী দিনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জাগরণ তুলবে জুয়েলারি শিল্প। বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জুয়েলারি শিল্পে আনুমানিক ৪৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। আগামীতে এই শিল্পে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জুয়েলারি শিল্পে ভ্যালু এডিশন করে সোনার অলঙ্কার রফতানি সম্ভব। দুবাই যেমন সোনার ব্যবসার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশেও এই সম্ভাবনা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল ২০২৩ আমরা আপনাদের নিয়ে প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। সেখানে আমরা ১২টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলাম। যা ছিল আমাদের জুয়েলার্স মালিকদের আশার প্রতিফলন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমাদের ১২টি প্রস্তাবের ১টি বাদে অন্য কোনো প্রস্তাবই সংযুক্ত হয়নি। যা শুধু আমাদের আশাহতই করেনি, পাশাপাশি জুয়েলারি শিল্পকে হুমকীর মুখে ফেলেছে।

বিজ্ঞাপন

আনোয়ার হোসেন বলেন, সোনার অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আরোপিত ৫ শতাংশ ভ্যাট, ক্রেতা সাধারণের উপর বোঝা হিসাবে পরিলক্ষিত হয়। যার জন্যে অনেক ক্রেতা ভ্যাট দিতে অনীহা প্রকাশ করে। যার প্রভাব পড়ে সরকারের রাজস্ব আয়ে। বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সরকারের প্রয়োজন রাজস্ব আয়ের নতুন উৎস। জুয়েলারি শিল্প বাজেটের ঘাটতি মেটাতে অনেকাংশেই সাহায্য করতে পারে, যদি এই খাতের উপর আরোপিত ভ্যাটের হার কমানো হয়। তাই বাজুস আবারও প্রস্তাব করছে সোনার অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আরোপিত ৫ শতাংশ ভ্যাট হার কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হোক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি রেখে, বাজুস প্রস্তাব করছে আংশিক পরিশোধিত সোনা এর ক্ষেত্রে সিডি ১০ শতাংশ এর পরিবর্তে আইআরসি ধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের জন্য শুল্ক হার ৫ শতাংশ করা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারের সর্বশেষ সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী- বাংলাদেশের সোনার বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৪০টন। তবে প্রকৃত চাহিদা নিরুপণে সরকারের সমীক্ষা প্রয়োজন। বৈধভাবে সোনার চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে বড় বাঁধা কাঁচামালের উচ্চ মূল্য, অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয়, শিল্প সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির উচ্চ আমদানি শুল্ক। বর্তমানে জুয়েলারি শিল্পের প্রায় সকল ধরণের পণ্য ও যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। যা স্থানীয় অন্যান্য শিল্পে আরোপিত শুল্কের চেয়ে অনেক বেশি। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে উচ্চ ভ্যাট হার ও অতিরিক্ত উৎপাদন খরচের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দামের পার্থক্য হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের পক্ষ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অন্তর্ভূক্তির লক্ষ্যে ১১টি প্রস্তাব পুনঃবিবেচনার দাবি করছে। বর্তমানে জুয়েলারি ব্যবসার ক্ষেত্রে সোনা, সোনার অলংকার, রূপা বা রূপার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হোক।

অন্যদিকে বর্তমানে অপরিশোধিত আকরিক সোনা এর ক্ষেত্রে আরোপিত সিডি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আমদানি শুল্ক শর্তসাপেক্ষে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছে বাজুস।

সারাবাংলা/জিএস/ইআ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন