বিজ্ঞাপন

ভারতে পালানোর সময় হত্যা মামলার ২ আসামি গ্রেফতার

June 5, 2023 | 4:31 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ‘তুচ্ছ ঘটনায়’ যুবক খুনের ঘটনার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা গ্রেফতার এড়াতে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৪ জুন) বিকেলে খুলনার পাইকগাছা থানার শোলাদানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে নগর পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের বন্দর ও পশ্চিম শাখার যৌথ টিম।

গ্রেফতার দু’জন হল- আবুল হাসনাত রাজু (৩৪) ও মো. ওসমান (৩৫)। তাদের বাসা নগরীর হালিশহরের নয়াবাজার এলাকায়।

গত ২৮ মে সকালে নগরীর পাহাড়তলী থানার হালিশহর নয়াবাজার এলাকায় আজাদুর রহমান (৩০) নামে স্থানীয় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। মৃত্যুর আগে আজাদের দেয়া একটি ভাষ্যের ভিডিও পরবর্তীতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, আজাদ তার হত্যাকারী হিসেবে ওসমান ও রাজুকে দায়ী করেন।

বিজ্ঞাপন

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর ও পশ্চিম) আলী হোসেন সারাবাংলাকে জানান, ‘ওসমান ও রাজু হত্যাকাণ্ডের পর খুলনা পালিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে সাতক্ষীরা হয়ে তারা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এর আগেই রোববার তাদের খুলনার পাইকগাছা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজাদের স্ত্রী নাজমা আক্তার বাদি হয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় ওসমান, রাজীব, রাজু ও ফয়সাল নামে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়।

গত ২৯ মে র‌্যাব এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত ওসমান ও রাজু পলাতক ছিল। হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, আজাদ ও তার বড় ভাই মফিজ নয়াবাজার এলাকায় নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। ২৭ মে রাতে খোলা জায়গায় এক যুবক প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিচ্ছিল। বাধা দেয়ায় যুবকের সঙ্গে আজাদ ও তার ভাইয়ের ঝগড়া হয়। ডিউটি শেষে ভোরে বাসায় ফেরার পথে আজাদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত আজাদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আজাদের স্বজনদের দাবি, নয়াবাজার এলাকায় রাস্তার দোকান ও পার্কিং থেকে নিয়মিত চাঁদা নিত প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটনের অনুসারী সন্ত্রাসীরা। আজাদ বাধা দেয়ায় তার সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সময় বাধা দেয়ার ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে খুনের পরিকল্পনা করে। ভোরে আজাদকে হত্যা করা হয়।

রাজু ও ওসমানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, ‘আজাদ ও তার ভাইয়ের সঙ্গে টমি নামে এক যুবকের ঝগড়া হয়েছিল। ভোররাতে টমি, ফাহিম, ওসমান ও রাজু মোটর সাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আজাদের সাথে বিতণ্ডায় জড়ায়। এরপর মোটরসাইকেল থেকে নেমে টমি আজাদকে প্রথম ছুরিকাঘাত করে পরে ফাহিমসহ অন্যরা তাকে আঘাত করে।’

‘ঘটনার পর তারা টমির বাসায় গিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ছোরা রেখে আসে এবং পরনের কাপড় পাল্টে সেগুলো ভিজিয়ে রাখে। আমরা টমির বাসা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা দুটি উদ্ধার করি। পলাতক টমিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর জড়িতরা স্থানীয় কাউন্সিলরের ভাই খোকনের বাসায় অবস্থান করেন বলে তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে উপ পুলিশ কমিশনার আলী হোসেন জানিয়েছেন।

সারাবাংলা/আইসি/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন