বিজ্ঞাপন

দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে— সংসদে প্রধানমন্ত্রী

June 7, 2023 | 8:15 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সংসদনেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের দূরদর্শী ও সময়োপযোগী স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সব দিক থেকেই দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার আর্থ-সামাজিক খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে। এর ফলে সামাজিক খাতে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা এক কোটি ছয় লাখ জন।’

মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে সংসদ নেতা বলেন, ‘১০টি মেগা প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। এছাড়া অন্য মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’

বিজ্ঞাপন

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে আরও জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ১৬.২৭ লাখ মেট্রিন টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এরমধ্যে চাল ১২ .২৫ মেট্রিন টন, গম ৩.৯৬ মেট্রিক টন এবং ধান ৯ হাজার মেট্রিক টন।

লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, খাদ্য মজুদ বাড়াতে বর্তমান বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ১২.৫০ মেট্রিক টন চালসহ চাল আকারে সর্বমোট ১৫.১০ লাখ মেট্রিন টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ মেট্রিন টন নির্ধারণ করা হয়েছে। অধিকতর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত (২৩ মে ২০২৩) ৬.৩৪ লাখ মেট্রিক টন চাল ও৬.৮০ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা জানান, দেশের নতুন নতুন এলকায় ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও সিসমিক সার্ভে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৫৮১ লাইন কিলোমিটার ২ডি এবং ৬ হাজার ২২২ বর্গ কিলোমিটার ৩ডি সিসমিক সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। এ সময়ে ২০টি অনুসন্ধান কূপ, ৫৪টি উন্নয়ন কূপসহ ৭৪টি কূপ খনন এবং ৪১টি কূপে ওয়ার্কওভার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ফলে ছয়টি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দেশে এ পর্যন্ত খননকৃত মোট অনুসন্ধান কূপের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ বর্তমান সরকারের আমলে হয়েছে। ভোলার ইলিশায় নতুন আবিস্কৃত ২৯তম গ্যাসক্ষেত্রের মজুদসহ বর্তমানে গ্যাসের মজুত ২৮.৭৬ ট্রিলিয়িন ঘনফুট বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন