বিজ্ঞাপন

দামুড়হুদা-কার্পাসডাঙ্গা সড়ক চলাচলের অযোগ্য

June 17, 2023 | 6:10 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা শহর থেকে কার্পাসডাঙ্গা সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ও ইটের খোয়া উঠে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা চলাচল করতে পারছে না। মাথাভাঙ্গা নদীর কোল ঘেঁষে সড়কটি তৈরি হলেও এটি টিকিয়ে রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। সে কারণে সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিন ওই সড়কে চলাচল করে দেখা যায়, পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের আতিয়ারের সারের দোকানের মাঝ বরাবর স্থানে কালভার্টের নিকট সড়কটি ধ্বসে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। ওই সড়কে চলাচলকারীরা অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকবছর পরিকল্পিতভাবে সংস্কার না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ মানুষ নিজস্ব যানবাহনে চলাচল ও ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় মালবাহী যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া এ সড়ক দিয়ে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী দামুড়হুদা উপজেলা শহর থেকে চুয়াডাঙ্গা ও রঘুনাথপুর হয়ে দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা ও মেহেপুরের মুজিবনগর চলাচল করে থাকে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ ও ইটের খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হলে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। একদিক দিয়ে কোনো যানবাহন এলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর যানবাহনের চালককে অতিক্রম করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমনি ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা।

পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের সার ব্যবসায়ী আতিয়ার জানান, সড়কটি ধসে যাওয়া স্থানে একটি কালভার্ট থাকলে ওই কালভার্টটি অকেজো থাকায় সেখান দিয়ে পানি বের হয় না। পানি বের না হওয়ার কারণে সড়কটি ধ্বসে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, নদীর কোল ঘেঁষে এ সড়কটি তৈরি হলেও এটি টিকিয়ে রাখার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সড়কের পাশ দিয়ে প্যালাসাইড না থাকায় সড়কটি ক্রমাগত ভেঙেই যাচ্ছে। এ সড়কের ব্যাপারটি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। প্রবল বৃষ্টি হলে সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সে কারণে পরিকল্পিতভাবে সড়কটি সংস্কার প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

হাউলি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির উদ্দীন জানান, সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরে গেছে। বেশ কিছু দিন আগে সড়কের কালভার্টের অংশে ধ্বসে পড়েছে। কালভার্টের মুখ উঁচু থাকায় সেখান দিয়ে পানি বের হয় না। পানি বের না হওয়ার কারণে সড়কটি ভেঙেই যাচ্ছে। মাঝে মহিলাদের এনে ওই অংশে মাটি দিয়ে কাজ করানো হয় এবং পানি বের করার জন্য ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ছোট আকৃতির ড্রেন তৈরি করা হয়েছিল যা বর্তমানে অকেজো। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সড়ক ভেঙে নদীতে চলে যায়। মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান তিনি।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, সড়কটির প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটারে মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বসে পড়া স্থানের আপাতত মটি দিয়ে ভরাট করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়া ও সড়কটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রায় আড়াই কোটি টাকার প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে। প্রাক্কলনের অনুমোদন এবং বরাদ্দ পেলেই সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন