বিজ্ঞাপন

কমিউনিস্ট আন্দোলনের কিংবদন্তি কমরেড জর্জ দিমিত্রভ

June 18, 2023 | 3:13 pm

সৈয়দ আমিরুজ্জামান

আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের কিংবদন্তি কমরেড জর্জ দিমিত্রভ চিরকাল আদর্শস্থানীয় ও প্রাত:স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার ১৪১তম জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা।

বিজ্ঞাপন

আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাসে কমরেড জর্জ ডিমিট্রভ একটি সুপরিচিত নাম। মানব ইতিহাসের এক ক্রান্তিলগ্নে জর্জ ডিমিট্রভ কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের (কমিণ্টার্ণ) নেতৃত্বের পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে সোভিয়েত রাশিয়ার অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব, পুঁজিবাদের সাধারণ সঙ্কটের তীব্রতা বৃদ্ধি শ্রম ও পুঁজির মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ এবং সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর সাথে উপনিবেশ ও আধা উপনিবেশ দেশগুলোর জাতিসমূহের ক্রমবর্ধমান বিরোধ সারা দুনিয়ার বিপ্লবী আন্দোলনে তরঙ্গ প্রবাহ সৃষ্টি করে। শুরু হয় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রবল উর্ধ্বগতির যুগ। এই আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে জাতিসমূহের অর্জিত সকল বিপ্লবী, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল অগ্রগতির এবং জাতীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে জার্মানী, ইতালীসহ বিভিন্ন দেশে প্রতিক্রিয়াশীল ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতা দখল করে। এর পরিণতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। যুদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শান্তি ও গণতন্ত্রের পক্ষে শ্রমিকশ্রেণি ও সকল স্তরের শান্তিকামী জনগণকে একত্রিত করার সংগ্রামের ঐতিহ্যের সাথে এক অটল ও দুঃসাহসী যোদ্ধারূপে জর্জ ডিমিট্রভ চিরকাল এক উদাহরণ হয়ে থাকবেন।

দিমিত্রভ ১৮৮২ সনের ১৮ জুন আজকের পারনিক প্রদেশে কোভচেভসিতে জন্মগ্রহণ করেন, আট সন্তানের মধ্যে তিনি প্রথম। গরীব টুপী সেলাইয়ের দর্জি পিতার সন্তান জর্জি ডিমিট্রভ মাত্র ১২ বছর বয়সে ছাপাখানার কম্পোজিটার হিসাবে ধর্মঘট আন্দোলনে যোগদান করেন। অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সময় তিনি ছিলেন ৩৫ বছরের যুবক। এই যুবক বয়সেই তিনি তৎকালীন বামপন্থী সোশ্যালিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভ্য, জাতীয় ট্রেড ইউনিয়নের সম্পাদক এবং পার্টির পার্লামেন্টারী গ্রুপের সম্পাদক হিসাবে বুলগেরিয়ার শ্রমিকশ্রেণি ও মেহনতি জনতার সুযোগ্য ও জনপ্রিয় নেতা ও তাত্ত্বিক হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হন। রুশ বিপ্লবের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১৯১৯ সালে বুলগেরিয়াতে প্রকৃত শ্রমিকশ্রেণির রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা জর্জ ডিমিট্রভ প্রতিষ্ঠা কংগ্রেসেই পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে নির্বাচিত হন।

যুদ্ধোত্তরকালের প্রথম দিককার বছরগুলোতে সারা পৃথিবী জুড়ে বিপ্লবী আন্দোলনের জোয়ারের সময় ১৯২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বুলগেরিয়ার রাজতন্ত্রী ফ্যাসিস্ট একনায়কত্ব উচ্ছেদের সশস্ত্র অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। ইতিহাসে এই অভ্যুত্থান কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে প্রথম ফ্যাসিস্ট বিরোধী অভ্যুত্থান বলে পরিচিত। এই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও তাত্ত্বিক হিসাবে ডিমিট্রভ অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেন। অভ্যুত্থানে পরাজিত হবার পরপরই তিনি দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন।

বিজ্ঞাপন

১৯২৪ সালের শুরু থেকেই পুঁজিবাদী অর্থনীতি সংকটাবস্থা কাটিয়ে উঠে উন্নয়নের পর্যায়ে উপনীত হয় এবং ১৯২৮ সাল পর্যন্ত পুঁজিবাদী অর্থনীতি সাময়িকভাবে স্থিতি লাভ করে। এই বছরগুলোতে সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়। এই পটভূমিতে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টিসমূহের আদর্শগত ও সাংগঠনিক দৃঢ়তা ও শক্তি বৃদ্ধির কর্মপন্থা গ্রহণ করে। আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের এই প্রয়োজনীয় মূহুর্তে ১৯২৫ সালের শরৎকালে জর্জ ডিমিট্রভ কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের নির্বাহী কমিটির স্টাফ হিসাবে মনোনীত হন। ১৯২৯ সালে তিনি যুগোশ্লোভিয়া, রুমানিয়া, গ্রীস, বুলগেরিয়া প্রভৃতি দেশের কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ে গঠিত বলকান কমিউনিস্ট ফেডারেশনের রাজনৈতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯২৯ সাল থেকেই পুঁজিবাদী দুনিয়ার অর্থনৈতিক সংকট আবার গভীরতর হতে থাকে। এই সংকট ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত চলে। এই বছরগুলোতে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে সোভিয়েত জনগণ প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনার দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করে। এই সময়কালে সমাজতন্ত্র ও পুঁজিবাদ এই দুই সমাজ ব্যবস্থায় পৃথিবীর বিভক্তি ও তাদের পরস্পর বিরোধী সংগ্রাম তীব্রতর হয়। পুঁজিবাদের সংকট ও সমাজতন্ত্রের জয়যাত্রার পটভূমিতে একদিকে উন্নত পুঁজিবাদী দেশসহ ঔপনিবেশিক দেশসমূহে বিপ্লবী জোয়ার দেখা দেয়, অন্যদিকে বিভিন্ন দেশে সমাজতন্ত্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের শত্রুভাবাপন্ন শক্তিরূপে ফ্যাসিস্টদের আবির্ভাব ঘটে। ১৯৩২ সালের শুরুতে জার্মানীর লগ্নিপুঁজির প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলো ফ্যাসিস্ট হিটলারকে ক্ষমতায় বসায় এবং ইতিহাসের এক কলংকময় অধ্যায়ের সূচনা করে।

হিটলারের ক্ষমতা দখলের সময়ে জীবনের নিরাপত্তার অভাবকে উপেক্ষা করে ডিমিট্রভ ফ্যাসিস্ট বিরোধী ইউরোপীয় শ্রমিকদের কংগ্রেসের প্রস্তুতিমূলক কাজে জার্মানীতে ছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে নাৎসিদের দ্বারা প্ররোচিত জার্মানীর পার্লামেন্ট ভবন রাইখস্টাগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে উপলক্ষ্য করে জার্মানীর কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দের সাথে ডিমিট্রভকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রাইখস্টাগ অগ্নিকাণ্ড মিথ্যা মামলার আসামী হিসাবে ডিমিট্রভ নির্ভিকভাবে ফ্যাসিবাদের বর্বর নৃশংসতা ও সন্ত্রাসবাদী নীতির মুখোশ খুলে দেন এবং তর্কাতিতভাবে প্রমাণ করেন যে কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে রক্তাক্ত প্রতিহিংসা গ্রহণ, দেশে সন্ত্রাস ও পরিকল্পিত নরহত্যার শাসন কায়েম করার উদ্দেশ্যেই নাৎসিরা রাইখস্টাগ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত করেছে। ডিমিট্রভ আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে কমিউনিস্ট, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটসহ সকল স্তরের শান্তিকামী ও গণতন্ত্রী মানুষকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান জানান। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণির যুক্তফ্রন্ট ও সকল স্তরের মানুষের গণফ্রন্ট গঠনের তাত্ত্বিক ভিত্তি তিনি মামলা চলাকালীন সময়েই উত্থাপন করেন।

১৯৩৪ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ব্যাপি সমাজতন্ত্র ও পুঁজিবাদের মধ্যে সংগ্রাম আরো তীব্রতা লাভ করে। একদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নব নব সাফল্য অর্জন করেছে, অন্যদিকে পুঁজিবাদী দেশগুলোতে ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী প্রতিক্রিযার আক্রমণ জোরদার হয়। এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে ১৯৩৪ সালের এপ্রিলে ডিমিট্রভ আন্তর্জাতিকের নির্বাহী কমিটির রাজনৈতিক সেক্রেটারী নির্বাচিত হন। পরের মাসেই তিনি আন্তর্জাতিকের নির্বাহী কমিটির সভাপতিমণ্ডলীতে অন্তর্ভূক্ত হন। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির এই জটিল ও সংকটজনক মূহুর্তে কমিণ্টার্ণের মূল কাজ হয়ে দাঁড়ায় ফ্যাসিবাদের আক্রমণ ও যুদ্ধের ভয়াবহ বিপদের বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণি ও শান্তিকামী জনগণকে একত্রিত করা। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিকের সেকেলে কৌশলগত পথনির্দেশগুলোকে পরিবর্তন করে নতুন পথনির্দেশ প্রণয়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। এই যুগসন্ধিক্ষণে আন্তর্জাতিকের কাজে জর্জ ডিমিট্রভ এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। ১৯৩৫ সালের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিকের সপ্তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। জর্জ ডিমিট্রভ তাঁর বিপুল সৃজনশীল প্রতিভা ও শ্রম দিয়ে আন্তর্জাতিকের অন্যান্য নেতাদের সহযোগিতায় এই কংগ্রেসের অন্যতম মূল রিপোর্টে ‘ফ্যাসিবাদের আক্রমণ এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণির ঐক্যগঠনের সংগ্রামে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের দায়িত্ব’ প্রণয়ন করেন। রিপোর্টটি তিনিই কংগ্রেসে উত্থাপন করেন এবং রিপোর্টের উপর উত্থাপিত প্রশ্নসমূহের জবাব দেন। এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই ফ্যাসিবাদ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণি যুক্তফ্রন্ট এবং ব্যাপক গণফ্রন্ট গঠনের তত্ত্ব সুস্পষ্ট রূপ লাভ করে। এই কংগ্রেসেই তিনি আন্তর্জাতিকের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

আন্তর্জাতিকের সাধারণ সম্পদক হিসাবে জর্জ ডিমিট্রভ শান্তির পক্ষে ফ্যাসিস্ট যুদ্ধবাজদের বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট ও সোশ্যালিস্ট শ্রমিকদের নিয়ে শ্রমিকশ্রেণির যুক্তফ্রন্ট এবং ব্যাপক ভিত্তিতে গণফ্রন্ট গঠনের বাস্তব কাজে উদ্যোগী হন। তা সত্ত্বেও ১৯৩৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর হিটলারের পোল্যাণ্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। মানব ইতিহাসের এই কঠিন, জটিল ও বিভিষীকাপূর্ণ দিনগুলোতে ডিমিট্রভের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিকের তৎপরতার মধ্য দিয়ে দেশে দেশে শান্তিকামী, গণতান্ত্রিক ও দেশ প্রেমিকদের একত্রিত করা সম্ভবপর হয়। এর ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন দেশে ফ্যাসিবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন জোরদার হয় এবং কমিউনিস্টরা প্রতিরোধ আন্দোলনের উদ্যোক্তা, সাংগঠনিক পরিচালক হিসাবে নেতৃত্বের আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। যুদ্ধোত্তরকালে পূর্ব ইউরোপের একগুচ্ছ দেশে সমাজতন্ত্র কায়েম কমিউনিস্ট পার্টিসমূহের এই অবস্থান গ্রহণের ফলেই সম্ভবপর হয়।

ফ্যাসিস্ট জার্মানীর পতনের মুখে ১৯৪৪ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর বুলগেনিয়ার শ্রমজীবী জনগণ ফাদারল্যাণ্ড ফ্রন্টের নেতৃত্বে রাজকীয় ফ্যাসিস্ট একনায়কত্ববাদী শাসকদের উচ্ছেদ করে সমাজতান্ত্রিক বুলগেরিয়া প্রতিষ্ঠা করে। ফাদারল্যাণ্ড ফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে ডিমিট্রভের যুক্তফ্রন্ট ও গণফ্রন্টের তত্ত্ব বাস্তব রূপ লাভ করে। ফাদারল্যাণ্ড ফ্রন্টের নেতা হিসাবে ২২ বৎসর দেশান্তরী জীবন কাটানোর পর দেশে ফিরে এসে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে জর্জ ডিমিট্রভ সমাজতান্ত্রিক বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বেই বুলগেরিয়ার শ্রমিকশ্রেণি সমাজতন্ত্রের ভিত্তি সৃষ্টি করে। ১৯৪৯ সালের ২রা জুলাই জর্জ ডিমিট্রভ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিজ্ঞাপন

এই বছরের ২০২২ সালের ১৮ই জুন সারা বিশ্বের শ্রমিকশ্রেণি, প্রগতিশীল ও শান্তিপ্রিয় জনগণ এই মহান নেতার ১৪০তম জন্মবার্ষিকী পালন করবে।

মার্কস-এঙ্গেলস-লেনিনের সুযোগ্য উত্তরসুরী, আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম তাত্ত্বিক ও সংগঠক, সমাজতান্ত্রিক বুলগেরিয়ার স্থপতি জর্জ ডিমিট্রভের ১৪১তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য তাঁর সৃষ্টিশীল তাত্ত্বিক কীর্তি আন্তর্জাতিকের সপ্তম কংগ্রেসে উপস্থাপিত ‘ফ্যাসিবাদের আক্রমণ এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণির ঐক্য সংগঠনের সংগ্রামে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের দায়িত্ব’ নতুন করে অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা সামনে আসছে।

লেখক: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন