বিজ্ঞাপন

সিলেটে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জিততে পারে নৌকা: জরিপ

June 19, 2023 | 1:39 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সিলেট: দুইদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের কাছে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থিরা। সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনিই সিটির নগর পিতা হতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইলেকশন মেন্যুভারিং আর্কিটেকচার (সিমা) নামে ইউরোপভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

বিজ্ঞাপন

গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, সিলেট সিটিতে মেয়র হিসেবে জয়ী হবেন নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থেকে প্রায় এক লাখ ভোট বেশি পাবেন। এবারই প্রথম তারা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কাজ করছে। দীর্ঘ ৫২ দিন রদীগর পর তারা সিলেট সিটি নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করেছে।

সিলেট সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী দেওয়া হয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে। এই সিটিতে ভোটের আর দুইদিন বাকি। ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী দেয়নি। বর্তমানে মাঠে আলোচনায় আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তিনি ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার পুরুষ ও মহিলা মিলে ৩৬০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের কারণে এবার ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে জমজমাট নির্বাচন। বিশেষ করে নতুন ১৫টি ওয়ার্ড বেশি ভোট উৎসব এবং প্রার্থীর সংখ্যা বেশি।

সিমার জরিপে বলা হয়েছে, ‘এবারই প্রথম তারা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কাজ করছে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে সিলেট সিটি করপোরেশনকে বেছে নেওয়া হয়। যার প্রধান লক্ষ্য ভোটার ডাইভারসিটি। সিলেটে প্রধান দলগুলো পাশাপাশি ফুলতলী, কওমী, পীরপন্থি, সংখ্যালঘু, মনিপুরি এবং প্রায় অর্ধেক ভোটার সিলেটের আদিবাসি নন। তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাইগ্রেট করে পেশাগত কারণে সিলেটের ভোটার হয়েছেন। ভোটারদের এই জটিল সমীকরণ এবং স্থানীয় সমকালীন ইস্যু সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব সময় প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে।’

বিজ্ঞাপন

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের গবেষক দল ২৫ এপ্রিল থেকে তাদের কাজ শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে ৫২ দিন শতাধিক ফিল্ড ডাটা কালেক্টর, ডাটা অ্যানালিস্ট, সুপারভাইজার, কো-অরডিনেটর কাজ করেছে সিলেটের ৪২ ওয়ার্ডে। যেখানে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮৬ জন। দেশি-বিদেশি নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা গ্রাউন্ড ডাটা বিশ্লেষণ করে সিলেট সিটির ভোট প্রজেকশন তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বর্তমানে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোটের সার্বিক চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।

গবেষকরা দাবি করেছেন, জরিপ অনুযায়ী সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য ভোট কাস্ট হবে শতকরা ৪৪ শতাংশ থেকে ৫১ শতাংশ। যা ভোটার হিসাব করলে ২ লাখ ১৪ হাজার ২৫০ জন থেকে ২ লাখ ৪৮ হাজার জন। মোট ভোট কাস্টিং এর মাঝে প্রার্থী ভিত্তিক ভোট প্রজেকশন হলো- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী পাবেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৫০ ভোট। যা শতকরা ১০ শতাংশের কম বেশি। আর হাতপাখা প্রতিক পাবে ৮ হাজার থেকে ১৩ হাজার ভোট। তাছাড়া লাঙল পাবে ২৫ হাজার থেকে ৩৩ হাজার ভোট। জাকের পাটিং সাড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার, কুটু মিয়া (স্বতন্ত্র) সাড়ে পাঁচহাজার থেকে সাড়ে সাতহাজার, সালাহ উদ্দিন রিমন পাবেন সাত হাজার থেকে ১১ হাজার এবং মোস্তফা মাস্টার পাবেন সাত হাজার থেকে ১০ হাজার ভোট।

 জরিপে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণে যদি জাতীয় পার্টি ছাড়া চোটে অংশগ্রণ করে তাহলে ভোটের হিসাব নিকাশে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে সার্বিক বিবেচনায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র নির্বাচনে একলাখ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকবেন বলে জরিপের ফলাফলে ধারণা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জরিপের ফলাফলে নির্বাচনে এগিয়ে থাকার বিষয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি নেতা-কর্মী ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন; ভোট চাচ্ছেন। আমি নিজেও ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাচ্ছি। চারদিকে মানুষের বিপুল সমর্থন পাচ্ছি; চতুর্দিকে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপভিত্তিক আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা সিমার জরিপেও উঠে এসেছে নগরবাসীর ইচ্ছার প্রতিফলন। ২১ জুন ইনশাআল্লাহ নৌকা বিপুল ভোটে জয়ী হবে।’

আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘নগরবাসীকে অনুরোধ করবো ভোটের দিন সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে মূল্যবান ভোটটি দিবেন।’

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিমার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গবেষণা দলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন এস শাকির (এফআরএসএ)। এছাড়া সিলেটে স্থানীয়ভাবে জরিপে কাজ করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জহির উদ্দিন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক দিহান হাসান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির ডাটা অ্যানালিস্ট মো. মনিরুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন