বিজ্ঞাপন

আফগান সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হবে: মুশফিক

May 10, 2018 | 8:22 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

লম্বা বিরতি শেষে আবারও শুরু হচ্ছে মুশফিকুর রহিমের ব্যস্ততা। ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শুরু হবে জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচি। আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। মোহাম্মদ নবী-রশিদ খানদের নিজেদের থেকে কিছুটা এগিয়েই রাখলেন মুশফিক। এদিকে, অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল হওয়ায় মুশফিক নিজের হতাশার কথাও জানিয়েছেন।

টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে আফগানরা নম্বরে আর বাংলাদেশ দশ নম্বরে। টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে কিছুটা নিজেদের থেকে এগিয়েই রাখলেন মুশফিক। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) তিনি গণমাধ্যমে জানান, ‘টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান অনেক ভয়ংকর দল। সম্প্রতি তারা টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে। সামনে তারা টেস্ট খেলবে। ওয়ানডেতেও তারা খুব ভালো খেলছে। তারা বিশ্বকাপও নিশ্চিত করেছে। ওদের পক্ষে সবকিছু থাকবে। চেনা মাঠে খেলবে তারা। সেদিক থেকে আমরা একটু পিছিয়েই থাকব।’

আফগানদের সেরা তারকা রশিদ খান, উঠতি তারকা মুজিব জাদরানদের নিয়েও ভাবছেন মুশফিক, ‘রশিদ খান বিশ্বমানের বোলার। সে নিয়মিত ভালো করছে। এবারের আইপিএলেও দু-এক ম্যাচ ছাড়া তার বিপক্ষে ওভারে ছয়-সাতের বেশি রান কেউ নিতে পারেনি। আমাদের জন্য সে চ্যালেঞ্জিং হবে। ওদের শুধু রশিদ খান না, মুজিব ভালো করে থাকে। বিশেষ করে নতুন বলে। তবে, দল হিসেবে ভালো পরিকল্পনা করতে হবে আমাদের। মাঠে যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, টি-টোয়েন্টি এমন খেলা, যেখানে একজন বোলারকে দেখে খেলার সুযোগ নেই। একটু ঝুঁকি নিয়ে হলেও রান করতে হবে। আশা করি আমরা পারব। কারণ আমাদের দারুণ স্কিলফুল ক্রিকেটার আছে। তারা যদি জ্বলে ওঠে, তাহলে এটি খুব ভালো একটা সিরিজ হবে। আশা করি ওদের বিপক্ষে স্কোরিং শট বের করতে পারব।’

বিজ্ঞাপন

মুশফিক আরও যোগ করেন, ‘গত সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে আমরা যেভাবে খেলেছি শ্রীলঙ্কার মাটিতে, সেটা আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে হারানো, ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সব মিলিয়ে এই সিরিজে (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। আর আমরা নতুন একটা স্টেডিয়ামে খেলব। চেষ্টা থাকবে স্টেডিয়ামটির অভিষেক স্মরণীয় করে রাখতে।’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ একবারই আফগানদের মুখোমুখি হয়েছে। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় টাইগাররা।

এদিকে, আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী বাংলাদেশে খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। সেটা ২০১৫ সালে। নিরাপত্তার অজুহাতে সে বছর আসেনি তারা। পরের বছর এসেছিল, দুই ম্যাচ টেসনট সিরিজ ১-১ এ ড্র হয়। সেবার অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল তাদের প্রাপ্য সিরিজ। ফিরতি সিরিজ খেলতে এ বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। সেটা বাতিল করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের সফর বাতিলের প্রসঙ্গে মুশফিক জানান, ‘এটা দুই বোর্ডের ব্যাপার। এ বাপারে আমার মন্তব্য করা কঠিন। কিন্তু আমরা খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে এসে খেলে গেছে, আমাদেরও ইচ্ছা ছিল সেখানে গিয়ে খেলার। আমিও কোনো সিরিজ সেখানে খেলিনি। আমার কাছে অন্যরকম অনুভূতি ছিল। ভবিষ্যতে হলে ভালো হবে। তবে, সব মিলিয়ে আমি হতাশ।’

বিজ্ঞাপন

ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ড্র হওয়া সিরিজে মুশফিক ব্যাট হাতে চার ইনিংসে করেছিলেন ১৫৮ রান। চট্টগ্রামে অস্ট্রেলিয়ার জেতা ম্যাচে করেছিলেন ৬৮ রান।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন